মো.আলাউদ্দীন,হাটহাজারীঃ
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়কস্থ চেংখালি সুইসগেট ধসে পড়ে বিলীন হয়ে যাবার প্রায় দুই বছর একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেটির পুন:নির্মাণ করা হয়নি।
যার ফলে হালদা নদীর শাখা চেংখালী খালের দুই পাশে চাষাবাদের জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে । বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই পাশের জনসাধারণের ও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দূ্র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও হালদা নদীর প্রবল জোয়ারে প্রতিদিনই চেংখালী শাখা খালের মেখল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং শত শত একর কৃষি জমিতে চাষাবাদও করতে পারছে না স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে তৈরী হওয়া উপজেলার গড়দুয়ারা ও রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে সুইসগেট হয়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কে যাওয়ার সহজ মাধ্যম ছিলো। যেখান থেকে উপজেলা সদরে যাতায়ারের সহজ পথও ছিলো সহজ। বর্তমানে বেড়িবাধ ও সুইসগেট ভেঙে হালদার শাখা খাল চেংখালী খালে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। আর সুইচগেট না থাকায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। যার ফলে ওখানকার শত শত পরিবারকে প্রতিদিনই চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সুইচগেট এলাকার দোকানদার কামাল সওদাগর ও পূর্ব মেখল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ইউছুপসহ বেশ কযেকজন স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রকিবেদক কে বলেন, সুইসগেট ও বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার প্রায় দুই বছর এক মাস চলে যাচ্ছে অথচ এখনো কোনো উদ্যোগ দেখছিনা। বেড়িবাঁধ ও সুইচগেট ভেঙে যাবার কারনে আস্তে আস্তে এখানকার চাষাবাদের জমি ও বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসীরা ওই ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ ও সুইসগেট পুননির্মাণ করে এলাকাবাসীদের দূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মশিউজ্জামান এ প্রতিবেদক কে সন্ধ্যার দিকে জানান, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব ডেভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শাহীন বাদশা রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ প্রতিবেদক কে বলেন, ইতিমধ্যে এটার টেন্ডার হয়ে গেছে, আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। আর এ বছরেই কাজ শুরু হবে যা শেষ হতে আনুমানিক দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হঠাৎ সুইস গেটের মাঝখানের মাঠি ধসে পড়ে। এতে উপজেলার মেখল ও গড়দুয়ারা ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post