মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারীঃ ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাটহাজারীর বেশ কযেকটি এলাকার নিন্মাঞ্চল, রাস্তাঘাট জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়ক থেকে পানি সরে যাওয়ার পর ভেসে উঠেছে ওইসব গ্রামীণ রাস্তা ঘাটের ক্ষতবিক্ষত রুপ।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) সকালের দিকে পৌরসভার ৮ নং ওয়াডস্থ মীর সড়ক (মিরেরখীল মোহাম্মদপুর সড়ক) পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মিরেরহাট বাজারের পূর্ব দিকে চলে যাওয়া এ মিরেরখীল মোহাম্মদপুর সড়কটি উপজেলার ছিপাতলী ও নাঙ্গলমোড়া, গুমাণমর্দ্দন ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। এছাড়াও বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে যাওয়া যায়, হালদা নদীর অপর প্রান্তে গহিরা রাউজান এবং ফটিকছড়ি উপজেলায়ও। আবার এ সড়ক দিয়ে ঢুকে নাঙ্গলমোড়া সড়ক ধরে দক্ষিণে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কস্থ ইছাপুর বাজার এবং পূর্ব দিকে নাঙ্গলমোড়া ডিসি রোড় ধরে সরকারহাট বাজার হয়ে উঠা যায় চট্টগ্রাম নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কেও। এক সময় পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড এলকা থেকে এ সড়ক দিয়ে টেম্পু ও সিএনজি অটোরিকশা সার্ভিস চালু ছিলো। তবে সড়কের বেহাল দশার কারনে বর্তমানে লোকাল টেম্পু সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেলেও রিজার্ভ সিএনজি চালিত অটোরিকশা এখনও কোনো রকমে চলছে এ সড়কে। ঘুর্নিঝড় রেমাল এর প্রভাবের কারনে হওয়া বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিমের পাহাড় ও উচু এলাকার পানি পৌরসভার মিরেরহাট সংলগ্ন মুন্দুরি ছড়ায় পড়ে তীব্র ঢলের সৃষ্টি হয়। পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে মিরেরখীল মোহাম্মদ পুর সড়কটির বেশ কয়েকটি অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিটুমিন উঠে যাওয়া এবং খানাখন্দে ভরা সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
ওই এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, গত ২ বছর ধরে এ সড়ক নিয়ে ভোগান্তিতে আছি। এর মধ্যে গত কয়েকদিন পূর্বে বৃষ্টির পানির স্রোত ছড়ার পাড় ভেঙ্গে এলাকায় ঢুকে সড়কটিকে আরো বিধ্বস্ত করে দেয়। আমরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।
আরেক বাসিন্দা কবির আহমদ জানান, পৌরসভার সব রকম টেক্স পরিশোধ করলেও সে অনুযায়ী সেবা আমরা পাচ্ছি না। যার কারনে দূর্ভোগ আমাদের পিছুই ছাড়ছে না। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
সড়কের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মো.ইলিয়াছ জানান, এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালালে সে গাড়ির হায়াত (মেয়াদ) অর্ধেকে নেমে আসবে। মুমুর্ষ রোগীদের যন্ত্রনা সড়কের কারনে চৌগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডেলিভারি রোগীদের ভোগান্তি বর্ণনাতীত।
এসড়ক ব্যবহারকারী ভ্যান চালক মনির জানান, এ সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান এভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এমন সড়কে প্যাডেল চালিত এ ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার হলে সড়ক ব্যবহারকারী সকলের দূর্ভোগ দুর হবে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুক্কুর মেম্বার জানান, বিভিন্ন মিটিয়ে সড়কটির দুরবস্থার কথা তুলে ধরেও আজ পর্যন্ত কোনো সুফল পাইনি। মীর বাড়ির পর মাইজপাড়া থেকে আনিস খাল পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই শোচনীয় বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক আলহাজ্ব মনজুরুল আলম চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জানান, এ সড়কের সংস্কার কাজের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। আগামী ২০/২৫ দিনের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post