শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
জেলার হাতিবান্ধায় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২২ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার মেডিকেল চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে উভয় প্রার্থীর পক্ষে একে অপরকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এই সংর্ঘর্ষে চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী, সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২২জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।
জানা গেছে, হাতিবান্ধা উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে চেয়্যারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা। ভয়ভীতি প্রদর্শনে ভয়ভীতি দেখানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাপ পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী বাচ্চুর সমর্থকরা হ্যান্ড মাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী আনারস মার্কার নারী প্রার্থী মোছাঃ শাহানা ফেরদৌসী সীমা কে গালিগালাজ করে বক্তব্য দেয়। এতে সীমার সমর্থক গণ তাৎক্ষণিক বাধা দেয় ও ঘটনায় বিচারের দাবিতে ( সীমা সমর্থক) হাতিবান্ধা হাসপাতালের সামনে রাস্তায় মেডিকেল মোড়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এ খবর পেয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি লিয়াকত আলী বাচ্চুর লোকজন সীমাসহ তার সমর্থকদের ওপর এলাপাতারি হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনা বেগতিক দেখে নারী প্রার্থী সীমাসহ তার সমর্থকরা পাশে হাসপাতালের ক্যাম্পাসে আশ্রয় নেয়। সেখানেও দূর্বত্তরা গিয়ে হামলা করে। হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা, তার স্বামী পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়া লীগ নেতা শাহাদত, সাংবাদিক হাসানসহ প্রায় ২২জন আহত হয়। আহতদের তাৎক্ষণিক হাতিবান্ধা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদের রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
হাতিবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে যতটুকু সময় লেগেছে, ততটুকো বিলম্ব হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে অভিযোগ শনিবার রাতে আনারস মাকার্র প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা অভিযোগ করেছে। আবার প্রার্থী লিয়াকত আলীর বাচ্চুও অভিযোগ করেছে। একে অপরকে দায়ী করে অভিযোগ করেন।
এদিকে আনারস মাকার্র প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লিয়াকত আলী বাচ্চুর দূবৃর্ত্তরা হামলা করেছে।
লিয়াকত আলী বাচ্চু এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, সীমার লোকজন হামলা করে। পাটিকা পাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদত হোসেন জানান, প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিবার্চন সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও নিরোপক্ষ করতে মাঠ পযার্য়ে প্রশাসনকে নিরোপক্ষ ভুমিকায় থাকতে হবে। সেটা এই মূহুর্তে হাতীবান্ধায় বড় অভাব।
হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা মো. নাজমুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সহিংসতার ঘটনায় অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ঘটনার পর হতে হাতিবান্ধা উপজেলা প্রশাসন নির্বাচনী সহিংসতা রোধে সর্তকতা অবলম্বন করেছে ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//