আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতে, ৭ অক্টোবরের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তিনিই। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস প্রধানের হত্যা মানে যুদ্ধের সমাপ্তি নয়,গাজায় বছরব্যাপী যুদ্ধ “শেষের সূচনা” বলেছেন। তবে ইরান বলেছে এর বদলা হবে তীব্র বেদনাদায়ক। সিনাওয়ারের খুন বেয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে উড়বে বিজয়ের নিশান। সিএনএন, টাইমস অফ ইসরাইল, বিবিসি,আল জাজিরা, রয়টার্স, আল মায়াদিন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে বুধবার গাজার রাফাহ শহরের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়েছিলো। ধারণা করা হয়েছিলো যে ওই ভবনটি হামাসের সিনিয়র নেতারা ব্যবহার করেন। সেই অভিযানে তিনজন নিহত হন, মি. সিনওয়ার তাদের মাঝে একজন।ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিনি হয়ে যান ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার একা ভবনে প্রবেশ করে।
মি. হাগারি আরও বলেন যে ড্রোন দিয়ে দেখা গেছে, মি. সিনওয়ার একটি চেয়ারে বসে আছেন। ইসরায়েলি সেনারা ভবনে প্রবেশ করে নিহত এই হামাস প্রধানকে একটি ভেস্ট, বন্ধুক ও ৪০ হাজার শেকেলসহ (আট হাজার ২০০ পাউন্ড) দেখতে পায়।আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল হার্টজি হালেভি বলেছেন, “আমরা বলেছিলাম আমরা তাকে ধরবো এবং তাকে ধরেছিও। তাকে ছাড়া পৃথিবী এখন ভালো।”
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়েছিলো কারণ ইসরায়েল ইয়াহিয়া সিনওয়ারের দাঁতের রেকর্ড ও আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে দেখছিলো। ইসরায়েলের কাছে সিনওয়ারের জেনেটিক ডেটা সংরক্ষিত আছে। কারণ তিনি তার জীবনের কয়েক দশকই কাটিয়েছেন ইসরায়েলের কারাগারে।
এর আগে একবার অনলাইনে কিছু গ্রাফিক চিত্র ছড়িয়ে পড়েছিলো। সেখানে দেখা গেছে, সিনওয়ারের মতো দেখতে একটি মৃতদেহ মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে।
নেতানিয়াহু সিনিওয়ার হত্যাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “যদিও এটি গাজার যুদ্ধের শেষ নয়, এটা শেষের শুরু।”তিনি বলেন, এই যুদ্ধ “আগামীকাল-ই” শেষ হতে পারে, যদি হামাস অস্ত্র ফিরিয়ে দেয় এবং গাজায় আটক বাকি জিম্মিদেরকে ফিরিয়ে দেয়।
ইরান প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ডে বদলা জোরালো হবে।ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ডে ওই অঞ্চলে প্রতিরোধ আরও জোরালো হবে সিনওয়ার যুবক ও শিশুদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবেন, যারা তাঁর দেখানো পথ ধরে ফিলিস্তিনকে মুক্তির দিকে নিয়ে যাবে। যত দিন দখল ও আগ্রাসন চলবে, তত দিন প্রতিরোধও জারি থাকবে। শহীদেরা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবেন।

Discussion about this post