কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ষোলদাগ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রের উপর শিক্ষকের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১০শে মে) রাতে ষোলদাগ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হাফেজ আলমগীরের ছেলে রেদাউন হক রাদকে শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়।
ছাত্র রেদাউন জানান, আমি ষোলদাগ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি। আমি আরবি পড়ার পাশাপাশি বাংলা পড়তে ইচ্ছে প্রকাশ করি। কিন্তু আমাকে আমার ওস্তাদ হাফেজ মতিউর রহমান (সাং- ঈশ্বরদী, জেলা- পাবনা) বলেন তোকে বাংলা পড়তে হবে না। তুই বাংলা পড়তে চাইলে মাদ্রাসায় আসা লাগবে না।
বুধবার (১০শে মে) রাতে ফজরের আযানের আগে আনুমানিক রাত্রি ৩ টার সময় আমাকে হাফেজ মতিউর রহমান ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে, আমার গা হাত পা টিপে দে। আমি তার কথায় রাজি না হলে সে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। পাশে থাকা আরেক ওস্তাদ কারী শহিদুল রহমান বলেন, ওর মার হয়নি আরো বেশি করে মারেন। আমি তার মার সহ্য না করতে পেরে মাদ্রাসা থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসি।
উক্ত মাদ্রাসার এক ছাত্র জানান, এই হাফেজ মতিউর রহমান মাদ্রাসার অনেক ছাত্রদের দিয়েই তার গা-হাত-পা টেপায়। তার গা-হাত -পা না টিপলে এমন বেধড়ক মারধর করেন। আমাকেও অনেকবার মেরেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ছাত্র রেদাউন হক রাদ এর মা বলেন, আমার ছেলেকে বেশ কয়েকবার মেরেছে। কিন্তু এবার আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজন দেখে আমি আমার ছেলেকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি এবং এখন পর্যন্ত আমার ছেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছে। শিক্ষাঙ্গনে এমন অবস্থায় যদি হয়, তাহলে আমরা কিভাবে সন্তানদের নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ১০,২০২৩//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post