গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের নজীরবিহীন অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়েছে গোটা বিশ্ব ৷
বিশ্বের সব মোড়লরা সাথে থাকার পর ইসরাইলিদের একটা চরম ভয় কাজ করছে ৷ সেটা হলো অষ্টম দশকের অভিশাপ’ I ইহুদিদের অতিগুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ন্যায়শাস্ত্র তালমুদ-এর একটি ভবিষ্যদ্বাণী যে ,
কোনো ইহুদি রাষ্ট্র আট দশকের বেশি টিকবে না। ভেঙে যাবে। আর সে ভাঙন বাইরের কোনো শক্তির কারণে হবে না। হবে নিজেদের মধ্যকার জাতি-উপজাতির কোন্দল থেকে। বাস্তবিক দেখাও গেছে তাই।
তথ্যসূত্র: এলবিসি নিউজ, মিডল ইস্ট মনিটর, লেবাননের আল মানার টিভি ও তেহরান টাইমস I
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, গত দুই হাজার বছরে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় সার্বভৌম ইহুদি রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে কিং ডেভিডের (ইসলামে যিনি নবী দাউদ আঃ) ও হাসমোনিয়ান রাজত্ব ছাড়া আজ পর্যন্ত কোনো ‘ইহুদি রাজ্য’ ৮০ বছরের বেশি টেকেনি। কিং ডেভিডের রাজত্ব ও হাসমোনিয়ান রাজত্ব ৮০ বছরের বেশি টিকে থাকলেও এই দুই রাজত্বের ভাঙন ধরেছিল ৮০ বছরের মাথায়। এরপর সে দুটো রাজত্ব টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল।
আজকের আধুনিক এই ‘ইহুদি রাষ্ট্র’ ইসরায়েলের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৪ মে। ২০২৮ সালে ৮০ বছর পূরণ হবে। হাতে আছে চার বছর। তালমুদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হলে আর চার বছরের মধ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি ভেঙে যাওয়ার কথা। ইসরায়েলিদের অনেকের মনে ভয়, তা হলে কি সেটাই ঘটতে যাচ্ছে?
‘অষ্টম দশকের অভিশাপ’ কথাটি এখন ইহুদী নেতাদের মুখেও উচ্চারিত হয়েছে ।লেবানন থেকে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যেহেতু ইসরায়েলের বয়স এখন ৭৬ বছর, সেহেতু অনেক ইহুদি ইসরায়েলের ওপর কোনো দুর্যোগ নেমে আসলে কীভাবে সেখান থেকে সরে যাবেন, তা নিয়ে আলোচনা করছেন। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের জনগণ বিক্ষোভ করছেন ৷
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক গত বছর ইসরায়েলের ‘ইয়েদিয়ত আহরোনত’ পত্রিকায় এক নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইহুদিদের গোটা ইতিহাসে দুটি ছাড়া ৮০ বছরের বেশি স্থায়ীত্বকালের কোনো রাষ্ট্র ইহুদিদের ছিল না।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এলবিসি নিউজ বলছে, অষ্টম দশকের অভিশাপ নতুন কিছু নয়। আজ থেকে ২৪ বছর আগে হামাস আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইয়াসিন এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।ইসরায়েলের ললাট লিখনও কী এমন হবে? কারণ আধুনিক এ ইহুদি রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে ১৪ মে। সেই হিসেবে ২০২৮ সালে ৮০ বছর পূর্ণ করবে ইসরায়েল।
এখনই সেই মৃত্যুঘণ্টার ধ্বণি শুনতে পাচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক। তাঁরা বলছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজার ওপর যেভাবে মরিয়া হয়ে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল, যেভাবে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করতে উন্মাদ নেতানিয়াহু ৷ তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ইহুদিরা ভেতরে ভেতরে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। তাই শেষবারের মতো মরণকামড় দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post