মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের রূপকার, মুজিব নগর সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জননেতা আব্দুল মান্নানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ৪ এপ্রিল।
দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য জননেতা আবদুল মান্নান স্মৃতি পরিষদ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিন মরহুমের ঢাকা ও টাঙ্গাইলের বাসভবনে কোরআন তেলাওয়াত, বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
জননেতা আব্দুল মান্নান মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন -সংগ্রামের জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে গৌরবোউজ্জ্বল ভুমিকা পালন করেছেন।
৬ দফা আন্দোলনের সময়ে বঙ্গবন্ধু সহ সকল নেতৃবৃন্দের কারাবরন অবস্থায় দলীয় প্রচার সম্পাদক আব্দুল মান্নান এবং সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃতে আন্দোলনটি এগিয়ে যায়।
শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও তিনি আইনকেই শেষ পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি বাংলাদেশ ইনকাম ট্যাক্স লইয়ার’স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জননেতা আবদুল মান্নান জেনারেল আইয়ুব খানের সাথে অনুষ্ঠিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ১৯ এপ্রিল থেকে মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রি হিসেবে চুডান্ত বিজয় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সফল রূপকার এবং এম এন এ ইনচার্জ হিসেবে বাঙালিদের জুগিয়েছেন অনুপ্রেরনা। তিনি মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সম্পাদিত জয় বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন।
দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহনের প্রস্তাব নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি থেকে শুরু করে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় সভানেত্রীর অবর্তমানে তিনি বহুবার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে আবদুল মান্নানের সুপারিশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এছাডাও তিনি দীর্ঘ ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে টাঙ্গাইল জেলা হাসপাতাল, মহেরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, বেগম ফজিলাতুন নেসা মহিলা মহাবিদ্যালয়, আতিয়া মহিলা কলেজসহ অসংখ্য সমাজ সেবা মূলক কাজ করেছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post