কুষ্টিয়া: উঠতি বয়সে কিশোর-কিশোরীরা তাদের পরিবারকে না জানিয়ে নানা কারণে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। তাদের খুঁজে না পেয়ে পরিবারের তরফ থেকে থানায় করা হয় নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি।
গেলো দুই সপ্তাহে কুষ্টিয়া মডেল থানা এলাকা থেকে এরকম ৫ জন নিখোঁজ হয়। প্রতিটা ঘটনায় জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নেমে নিখোঁজদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় কুষ্টিয়া মডেল থানা।
উদ্ধারকরাদের মধ্যে সংখ্যায় বেশি কিশোর কিশোরীরা।
কুষ্টিয়া মডেল থানাসুত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখ ঈশিতা বিশ্বাস (১৬) নামে এক তরুণী নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি হয়। যার জিডি নং-১৯৫৫, তারিখ-২৮/১২/২০২৪ ইং। পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ কুষ্টিয়া মডেল থানার নেতৃত্বে এসআই (নিরস্ত্র)/মোঃ মুরাদুল ইসলাম তদন্ত কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে নিখোঁজের অবস্থান নিশ্চিত করে গত ১ জানুয়ারী উদ্ধার করেন।
এছাড়াও মোছাঃ জুথি খাতুন (১৮), লিখন আহমেদ (১৭), আম্মান আক্তার দোলা (২১), জান্নাতুল ফেরদৌসী মৌমিতা (১৭) কে বিভিন্ন এলাকা থেকেও উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভিকটিমদের তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
উদ্ধার অভিযান নিয়ে আলাপচারিতায় কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেহাবুর রহমান শিহাব জানান, ঘর ছাড়া ৫ জনের মধ্যে বেশি ছিলো কিশোর কিশোরী। তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, বেশির ভাগ কিশোরী ও তরুণীদের বয়স ১৬-২৫। এদের অনেকে টিকটকে জনপ্রিয় হতে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। আবার প্রেমের সম্পর্কের পাশাপাশি কেউ কেউ পরিবারের সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, নিখোঁজ হওয়া এসত তরুণ তরুণীকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করতে নিরলস কাজ করেছেন এসআই (নিরস্ত্র)/মোঃ মুরাদুল ইসলাম ,এসআই (নিরস্ত্র) স্বপন কুমার, এসআই (নিরস্ত্র) অনুপ কুমার মন্ডল।
নিখোঁজ এসব ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আনন্দের বিষয়টি ছিল অন্যরকম যা বলে বোঝানো যাবে নাও যোগ করেন তিনি।
গত ৬ নভেম্বর শেহাবুর রহমান শিহাব কুষ্টিয়া মডেল থানায় যোগদান করেন। তিনি কুষ্টিয়ায় যোগদানের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওসি শিহাব পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর ২০০৬ সালে উপ-পরিদর্শক হিসেবে কুষ্টিয়া মডেল থানায় কর্ম জীবন শুরু করেন।