Friday, 13 June 2025
🕗
দৈনিক দেশতথ্য
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
দৈনিক দেশতথ্য
No Result
View All Result

৮ মেগা প্রকল্প বদলে যাবে চট্টগ্রাম

দেশতথ্য ঢাকা অফিস by দেশতথ্য ঢাকা অফিস
03/10/2023
in কৃষি, প্রধান খবর
Reading Time: 2 mins read
0
৮ মেগা প্রকল্প বদলে যাবে চট্টগ্রাম
Share on FacebookShare on Twitter Share on E-mail Share on WhatsApp

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, বন্দরের বে টার্মিনাল, মীরসরাই ইকোনমিক জোন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, সন্দ্বীপে সমুদ্র তলদেশে বিদ্যুৎ লাইন,
কালুরঘাট সেতু পুনঃনির্মাণ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প এই ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামে।

উন্নত শহর সিঙ্গাপুরের চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না। এসব প্রকল্প চট্টগ্রাম মহানগরী, মীরসরাই, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, বোয়ালখালী, মহেশখালী হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রকল্প সমূহের সঠিক বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের চেহারা যেমন পাল্টে যাবে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। এ আশা বিশেষজ্ঞ মহলসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

শেখ মুজিবুর রহমান টানেল

বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে। আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এ মেগা প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে। টানেলের দুই প্রান্তকে সাজানো হচ্ছে অপরূপভাবে। ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম এ সুড়ঙ্গপথ নির্মিত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত মূল টানেল। আগামী ২৮ অক্টোবর এটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এখন টানেলের ভেতরে-বাইরে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টানেলে দুটি মুখ রয়েছে। এর মধ্যে একটি পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় অপরটি আনোয়ারা প্রান্তে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- তিন দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলে মোট ১২ ধরনের যানবাহনের টোল দিতে হবে।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে শুরু হওয়া প্রথম সুড়ঙ্গের খননকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ২ আগস্ট। দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের খননকাজ শেষ হয় গত বছর ৬ অক্টোবর। আনোয়ারা ও পতেঙ্গা প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসেতুর কাজও শেষ। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে চারটি লেন থাকবে। প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে ঋণ হিসাবে চীনের এক্সিম ব্যাংক দিচ্ছে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। অবশিষ্ট অর্থের যোগান হয়েছে সরকারি তহবিল থেকে। চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামকে ওয়ান সিটি টু টাউন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্যতম। প্রকল্প ঘিরে ইতোমধ্যে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা এলাকায় বিশেষ অর্থনীতি অঞ্চলসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্প চট্টগ্রাম মহানগরী, মীরসরাই, আনোয়ারা, মহেশখালী হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। এত বিপুল অর্থের বিপরীতে প্রকল্পসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের চেহারা যেমন পাল্টে যাবে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। এ আশাবাদ বিশেষজ্ঞ মহলসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

বে-টার্মিনাল

সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার খ্যাত দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা ধরে রাখতে অপরিহার্য হয়ে পড়ে বে-টার্মিনাল। বহুল প্রত্যাশিত বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান। বে-টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশাসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। ২০২৬ সালে টার্মিনালটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে।

বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য নিয়োজিত কনসালটেন্ট মেসার্স কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি তৈরি করেছে মাস্টারপ্ল্যান। বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাকি দুটি টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য ৬৮ একর জমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে ৪শ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিস্তারিত প্রকৌশল নকশা, ড্রইং ও প্রাক্কলনে পরামর্শক সেবার জন্য কুনহোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসাল্টিং কোম্পনি লিমিটেড-ডি ওয়াই ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি যৌথভাবে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজের তদারকিও করবে।

মাল্টিপারপাস টার্মিনালে ছয়টি জেটি থাকবে। তবে বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে। এ টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্বদিকে রয়েছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ। বে-টার্মিনাল চ্যানেলে কোনো বাঁক নেই এবং যথোপযুক্ত নাব্যতা রয়েছে। তাই সেখানে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের সর্বোচ্চ ৬ হাজার টিইইউজ বহনক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ বার্থিং করানো সম্ভব হবে। বে-টার্মিনালে একটি ১২২৫ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার টার্মিনাল ও একটি ১৫শ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মিত হবে। এই তিন টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার।

বর্তমানে জোয়ারের সময় গড়ে চার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ বন্দরের জেটিগুলোতে ভিড়তে পারে। তবে বে-টার্মিনালে রাত-দিন ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বে-টার্মিনালের সক্ষমতা হবে প্রায় ৫০ লাখ টিইইউএস। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। তিনটি টার্মিনালের মধ্যে একটি বন্দরের নিজস্ব খরচে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পের অবশিষ্ট দুটি টার্মিনাল দক্ষ ও অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের অর্থায়নে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে।

মীরসরাই ইকোনমিক জোন

শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইকোনমিক জোন হচ্ছে মীরসরাই ইকোনমিক জোন। বঙ্গোপসাগরের মীরসরাই উপকূলের তীর ঘেঁষে জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চলে অতি লবণাক্ততার কারণে ফসল ফলতো না। তাই কয়েক হাজার একর আয়তনের এলাকাটিতে মূলত মাছ চাষ হতো আর ছিল গবাদি পশুর বিচরণক্ষেত্র। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই অঞ্চলটিই এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে রূপ নিয়েছে। একসময় ৫ হাজার একর জমি ঘিরে বাংলাদেশের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা শিল্পাঞ্চলটি এখন ৩৩ হাজার একরের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর’, যার পুরোটাই গড়ে উঠেছে সাগর থেকে জেগে ওঠা জমিতে।

মীরসরাই-ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর’। ইতিমধ্যে এ শিল্পনগরের মোট আয়তন ৩৩ হাজার একর জমির মধ্যে সরকারের কাছ থেকে ১৭ হাজার একর জমি বেজা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি উন্নয়ন শেষে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৩ একর জমি দেশি-বিদেশি ১৩৬ বিনিয়োগকারীর মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত জমিতে মোট প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ৭ লাখ ৫২ হাজারে বেশি বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে বলে বেজা সূত্র জানিয়েছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন

প্রধানমন্ত্রীর আটটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি হলো দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ। চট্রগ্রাম বন্দর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং কক্সবাজার ঘিরে রেলের অবকাঠামোগত বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ রুটে রেলপথ নির্মাণ তারই অংশ। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত এ রুটে মোট ১২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। সে অনুযায়ী এ দফায় দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প নেয় সরকার। ২০১৭ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি হয়।

রেলপথ নির্মাণের জন্য প্রথম লট দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত চুক্তির মূল্য ২ হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় লট চকরিয়া রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০২ কোটি ৫ লাখ ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ চুক্তির মূল্য ৬ হাজার ১৯০ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এ রেলপথ ও অবকাঠামো প্রকল্পটির দায়িত্বে আছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত চীনা প্রতিষ্ঠান সিওটি এবং বাকি অংশের দায়িত্বে নিযুক্ত সিসিইসিসি ও ম্যাক্স।
এ রেলপথের উদ্দেশ্য পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা। প্রকল্পে কক্সবাজারে ঝিলংজা ইউনিয়নে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে নান্দনিক একটি রেলওয়ে টার্মিনাল। টার্মিনালটি ঘিরে গড়ে উঠবে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হোটেল, বাণিজ্যিক ভবন, বিপণিবিতান, বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবনসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প। এরই মধ্যে স্থাপনাগুলোর নকশাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রেলপথটি ইরান থেকে শুরু করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও চীনের রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। পরে যশোর, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হয়ে ভারত যাবে। আর তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে তৈরি হবে ২৭টি দেশের রেল নেটওয়ার্ক। গড়ে উঠবে সহজ আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প

চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত দু’বছর ধরে প্রকল্পের উপযোগী করে গড়ে তোলার পর শুরু হচ্ছে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূলকাজ। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

কয়লা আনার জন্য ইতোমধ্যে ১৬ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) চ্যানেল তৈরির মাধ্যমে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে এ এলাকায়। প্রকল্পটি চালু হলে বৃহত্তর চট্রগ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকল্প এলাকায় সড়ক নির্মাণ, টাউনশিপ গড়ে তোলাসহ আনুষঙ্গিক কাজের প্রায় ১৭ শতাংশ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পে বর্তমানে ৪০০ শ্রমিক কাজ করছেন। পর্যায়ক্রমে আরও দুই হাজার শ্রমিক এ প্রকল্পে যোগ দেবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এছাড়া মাতারবাড়িতে আরও তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। গতবছর এই দুই দেশের সঙ্গেই সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। এদিকে এলএনজি আমদানির জন্য এলএনজি টার্মিনাল করারও পরিকল্পনা আছে সরকারের। ২০২৩ সালে প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।

সন্দ্বীপে সমুদ্র তলদেশে বিদ্যুৎ লাইন

চট্রগ্রাম জেলার বিচ্ছিন্ন জনপদ সন্দ্বীপ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল ৪ লাখ মানুষের এ জনপদ। দেশের প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বর্তমান সরকারের ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচির আওতায় জাতীয় গ্রিড থেকে সন্দ্বীপে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একনেক বৈঠকে প্রকল্পটির জন্য ১৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সন্দ্বীপবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত এ সাবমেরিন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাগরের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন অপটিক কেবলের মাধ্যমে সীতাকুন্ডের বাকখালী থেকে সন্দ্বীপের বাউরিয়া পর্যন্ত সন্দ্বীপ চ্যানলে দীর্ঘ ১৫ কিলোমিতারজুড়ে টানা হয়েছে সাবমেরিন কেবল, এর মাধ্যমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় চীনের এইচডিএসএস, জেডটিটি ও সিসিই তিনটি কোম্পানী যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। পূর্ব সন্দ্বীপ হাইস্কুলসংলগ্ন গুপ্তছড়া-সন্দ্বীপ সড়কের পাশে কাজ এগিয়ে চলছে পাওয়ার সাবষ্টেশনের নির্মাণকাজ।

কালুরঘাট সেতু পুনঃনির্মাণ

বোয়ালখালীর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর পুননির্মাণ করা। তাদের সেই দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে শুরু হবে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর পুননির্মাণ কাজ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এ সেতু নির্মাণে অর্থের যোগান দিবে। এজন্য বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট বোয়ালখালী অংশে রেললাইন কাম সেতু নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা নির্ভর করছে চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর। বিষয়টি উপলব্ধি করে বর্তমান শেক হাসিনার সরকার বৃহত্তর চট্রগ্রামকে ঘিরে বিশেষ করে মিরসরাই থেকে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে চট্টগ্রাম হবে সিংগাপুর।

জলবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৬টি খাল থেকে খননের মাধ্যমে ৫ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ৪২ লাখ ঘনমিটার কাদা অপসারণ করা হচ্ছে। নতুন করে ড্রেন নির্মাণ করা হবে ১০ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার মিটার দীর্ঘ রেটেনিং ওয়াল নির্মান করা হবে। খালের উভয় পাশে ৮৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মিত হবে। প্রকল্পের আওতাধীন ৩৬টি খালের মধ্যে যেসব খাল আরএস জরিপ অনুযায়ী চওড়া কিন্তু সেই অনুযায়ী ব্রিজ চওড়া নেই এ ধরনের ৪৮টি গার্ডার ব্রিজ ও কালভার্ট পুনঃস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

মনপুরায় বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত লক্ষাধিক মানুষ

Next Post

২০ বছর ধরে বটুলি ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ

Related Posts

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি রাশেদ খানের
প্রধান খবর

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি রাশেদ খানের

শার্শায় বিএনপি কর্মী খুন, গ্রেপ্তার ৪
প্রধান খবর

শার্শায় বিএনপি কর্মী খুন, গ্রেপ্তার ৪

আজ ইলিশ শিকারে সমুদ্রে যাচ্ছে উপকূলের হাজার হাজার জেলে
প্রধান খবর

আজ ইলিশ শিকারে সমুদ্রে যাচ্ছে উপকূলের হাজার হাজার জেলে

Next Post
২০ বছর ধরে বটুলি ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ

২০ বছর ধরে বটুলি ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

কুষ্টিয়ায় বাউস-এর ৫ম বর্ষপূর্তি ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় বাউস-এর ৫ম বর্ষপূর্তি ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি রাশেদ খানের

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি রাশেদ খানের

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো কিশোরীর

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো কিশোরীর

মাংস চুরির দোষ চাপিয়ে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, চুল কর্তন, গ্রেফতার ৩

মাংস চুরির দোষ চাপিয়ে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, চুল কর্তন, গ্রেফতার ৩

মেহেরপুরে বিএনপির কর্মীসভায় আওয়ামীলীগের হামলা

মেহেরপুরে বিএনপির কর্মীসভায় আওয়ামীলীগের হামলা

আর্কাইভ

June 2025
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
« May    

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী
ইমেইলঃ dtbangla@gmail.com

Mobile No- +88 01710862632
ঢাকা অফিসঃ ৩৩ কাকরাইল (২য় তলা)
ভিআইপি রোড, কাকরাইল ঢাকা -১০০০
প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠানোর ইমেল:
newsdtb@gmail.com
কুষ্টিয়া অফিস: দৈনিক দেশতথ্য
দাদাপুর রোড (মজমপুর)
(কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে)
মোবাইল:01716831971

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist