রোমান আহমেদ, জামালপুরঃ এক সময় মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য বাহন ছিলো ঘোড়ার গাড়ি। আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি। তাই এখন আর ঘোড়ার হাটও চোখে পরে না।
গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে জামালপুর সদরের তুলসীপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে প্রায় ৫০বছর ধরে চলছে বাংলাদেশের অন্যতম ঘোড়ার হাট।এই হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেই ক্রেতারা আসেন ঘোড়া কিনতে।নানা জাত আর বাহারী রঙের ঘোড়া পাওয়া যায় এই হাটে। সৌন্দর্য, আকার ও শক্তি পরিক্ষা করে ঘোড়া কিনেন ক্রেতারা। কেউ কেউ কিনেন বিক্রির উদ্দেশ্যে, কেউ শখের বসে, কেউবা ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা করার জন্য, কেউবা কিনেন উপার্জনের বাহন হিসেবে। ৫হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার ঘোড়াও মেলে এই হাটে। এই হাঁটে মৌসুম অনুযায়ী এক দিনে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ঘোড়াও বেচা-কেনা হয় বলে জানা গেছে।ঘোড়া ছাড়াও এই হাটে পাওয়া যায় ঘোড়ার গাড়ি, চাবুক, গলার মালাসহ নানা সরঞ্জামাদি। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার বসে এই হাট।৪০ বছর ধরে ঘোড়ার ব্যবসা করছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রুহুল আমিন।
তিনি বলনে, এই বাজারে অনকে ভালো ভালো ঘোড়া পাওয়া যায়। এখানে দেশী, তাজী, ভুইটা, ক্রস এমনকি গাধা সাইজের ঘোড়াও এই বাজারে পাওয়া যায়। তাই আমি এই হাটেই আসি।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজলো থেকে আসা মোহাম্মদ হেলাল বলনে, আমি সিরাজগঞ্জ থাইকে আইসে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা ঘোড়া কিনছি। এহন এই রাইতের বেলা আমার সিরাজগঞ্জ যাওয়া লাগবো। যদি থাকার কোন ব্যবস্থা থাকত তাইলে রাইতটে থাইকে কাইলকে সকালে যাইতাম। এহন কষ্ট হইলেও যাওন লাগব।হাটের ইজারাদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, করোনার কারণে এখন বিক্রি অনকেটা কমে গেছে। আগে ঘোড়া বিক্রি মৌসুমে এক দিনে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা র্পযন্ত কেনাবেচা হতো। উপজলো প্রশাসন যদি ক্রেতাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিত তাহলে বিক্রি বেশি হতো।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান বলনে, এসব বষিয়ে এখন র্পযন্ত কেও উপজলো প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেনি। তারা এলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ঘোড়ার হাটকে আরও সমৃদ্ধ করতে উপজলো প্রশাসন সব সময় তৎপর।
এই ঘোড়ার হাটের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা ও দূর থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থাসহ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন ইজারাদার, ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post