খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির ভৈরবঘাটা এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চিংড়ি ঘেরে সশস্ত্র হানা দিয়ে ঘের মালিককে পিটিয়ে জখম করে তার চিংড়ি ঘেরের জবর দখল নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। বর্তমানে ঘের মালিক মুজিবর রহমান খান(৪৫) খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় তার স্ত্রী ববি খাতুন বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। অভিযোগে জানানো হয়, উপজেলার কাজীমুছা গ্রামের ইমান আলী খাঁন এর ছেলে মুজিবর রহমান খাঁন গত প্রায় দু’যুগ ধরে পার্শ্ববর্তী ভৈরব ঘাটা মৌজায় পৈত্রিক ও ইজারা সূত্রে প্রায় ৬ বিঘা জমিতে নিয়ে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। ঘটনার দিন ৩ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে ভৈরবঘাটা আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা জনৈক জালাল হোসেন আরো দেশীয় অস্ত্রসহ আরো অন্তত ১০ জনকে সাথে নিয়ে ঐ ঘেরে হানা দেয়। এসময় ঘের মালিক বাড়িতে ছিলেন। তবে মূহুর্তেই ঘের দখলের খবরে মুজিবার ও তার স্ত্রী ববি খাতুন দ্রুত ঘেরে পৌছালে তারা সংঘবদ্ধভাবে মুজিবারকে বেধড়ক
মারপিট করে জখম করে। এতে তার একটি পা ভেঙ্গে মারাত্মক আহত হয়। এসময় তার স্ত্রী ববি তাকে ঠেকাতে এগিয়ে গেলে তারা তাকেও মারপিট করে। এদিকে আক্রান্ত মুজিবারের ভাই সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খাঁন জানান, হামলাকারী জালাল দাবি করেন যে, ঐ ঘেরের মধ্যে তার প্রায় ১ একর জমি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় বসাবসি হলেও জালাল ঐ ঘেরের মধ্যে কোন কাগজ-পত্র দেখাতে পারেনি। এরপর ঘেরটি জবর দখলে বিভিন্ন সময় পায়তারা চালাতে থাকে। এবং সর্বশেষ পহেলা রমজানে সুযোগ বুঝে তারা জোরপূর্বক ঘেরটির দখল ও তার ভাইকে মারপিট
করেছে। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্ট প্রত্যন্ত এলাকাজুড়ে বহিরাগত সশস্ত্র অপরিচিত মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি ঘেরের বিবাদ নিয়ে সেখানকার কথিত পাহারাদাররাও যোগ হয়েছে ভৈরবঘাটায়। এমনকি প্রতি রাতেই পাহারার নামে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে তারা সেখানে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এতে গোটা এলাকায় আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//০৮ এপ্রিল,২০২২//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post