প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও মোবাইলের বিকাশের এজেন্ট মো. শাহীন আলম (৪৫) কে সংঘ বদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য ঘেরাও করে ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার পর প্রায় ৫ লাখ টাকা লুটে নিয়েছে বলে অভিযৈাগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভুর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস সংলগ্ন গোড়াইল-বংশাই রোডের পোস্টকামুরী এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক পুলিশ, মির্জাপুর থানার টহল পুলিশ এবং গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের চোখের সামনেই এমন ঘটনা হয়েছে। আইন-শৃঙ্গখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনেই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে।
আজ শনিবার (২৮ মে) ব্যবসায়ী শাহীন আলমের চাচাতো ভাই মো. মাসুদ রানা মাসুদ জানান, শাহীন আলম মির্জাপুর বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বংশাই রোডে মোবাইল বাজার নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি গ্রামীণ ফোন, রকেট, এয়ারটেল, একটেল, বিটিসিএলসহ একাধিক মোবাইল কোম্পানীর এজেন্ট এবং তার মোবাইলের বিকাশ সেন্টার রয়েছে। শুক্রবার রাত সারে দশটার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের উত্তর পাশে তার নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি প্রাইভেটকার থেকে ৪/৫ জনের ডাকাত দল ধারালো অস্্র হাতে তাকে ঝাপটে ধরে এলোপোথারি কুপিয়ে টাকার ব্যাগ ও কয়েকটি মোবাইল লুটে নেয়। ব্যাগে নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং ২-৩ টি মোবাইলে বিকাশের প্রায় আড়াই লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা লুটে নেয়। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত দুইটার দিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে তার পরিবার জানিয়েছেন। এদিকে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন, মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন এলাকা, মির্জাপুর বাইপাস ও এর আশপাশ এলাকা ডাকাত, ছিনতাইকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অবয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। প্রতি নিয়তই এই এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে আসছে। বিষয়টির দিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগি এলাকাবাসি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, ওসি তদন্ত মো. গিয়াস উদ্দিন ও সেকেন্ড অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি ধারলো অস্্র উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১৭ মে) মির্জাপুরে হাটুভাঙ্গা বাজারে এক রাতে চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘ বদ্ধ চোরের দল চার দোকানে হানা দিয়ে দামী মোবাইল সেট, কাপড় ও নগদ টাকা সহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এক রাতে চার দোকানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরেছে। ব্যবসায়ী খালিদ মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হাটুভাঙ্গা বাজারের হিরা মুক্তা টেলিকম-২, সাহিন টেলিকম এবং সামিউল ফ্যাশন এবই তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গ্রিল ও ট্রিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিন দোকানে প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ইতি পুর্বেও হাটুভাঙ্গা বাজারে পর পর কয়েক বার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হলেও অদ্যবর্তি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপর দিকে একই রাতে মির্জাপুর থানার উত্তর পাশে বাওয়ার কুমারজানি রোডে ভাই ভাই ওয়েল্ডিং এর দোকানে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকানের মালিক সোলাইম মিয়া জানিয়েছেন, দোকানের যন্ত্রপাতিসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এক রাতে চার দোকানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post