পাট ক্ষেতে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে গহনাসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। পথচারীদের খবরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে কয়েকজনকে আটক করে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারার একটি কিশোর গ্যাংয়ের শিকার হয়ে সম্ভ্রম হারিয়েছেন এক নারী। জানা গেছে ওই নারী তার ভগ্নিপতির সাথে অটো রিকশায় বাড়ি ফিরছিল। এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে অপচেষ্টা করছেন কয়েকজন প্রভাবশালী।
এলাকার লোকজন বলছেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বড় আইলচারা গ্রামের পশ্চিমে আইলচারা জোয়ার্দারপাড়া-হালসা সড়ক। মাঠের মধ্য দিয়ে নতুন ওই পাঁকা সড়কটি দিয়ে লোকজন সব সময় চলাচল করে। ওই কিশোর গ্যাং প্রতিনিয়তই সেখানে ডাকাতি, ছিনতাই ও নারী ধর্ষনের মতো অপরাধ করে। তাদের ভয়ে এবং লোক লজ্জার কারনে কেউ থানা পর্যন্ত যায়না। তাদের উৎপাতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তারা অবিলম্বে ওই গ্যাংকে দমন করার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
গত ৭ জুন বিকালে কুষ্টিয়া ইবি থানার ডাবুরাভিটা গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার শ্যালিকাকে নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে অটো রিক্সা যোগে যাচ্ছিলো। তারা পোড়াদহ বাজার থেকে একটি বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফিরছিল। তারা অটোটি যখন জুগুবিলের কাছের যাত্রী ছাউনী ঘরের নিকট পৌছায় তখন ওই কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে তাদের গতিরোধ করে।
এরপর মাথায় অস্ত্র ঠেঁকিয়ে অটো রিক্সা থেকে নামিয়ে বিয়ের বাজার ছিনিয়ে নেয়। অটো চালক ও ওই ব্যক্তি কে তারা অটোর সাথে বেঁধে মুক্তিপন হিসাবে ২ লাখ টাকা দাবী করে। তারা প্রাণ বাঁচাতে পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা দ্রুত পাঠানোর জন্য মোবাইল করে। পরিবারের লোকজন বিকাশে টাকা পাঠালে ওই কিশোর গ্যাং সে টাকা উঠাতে কয়েকজন বাজারে যায়। ওই সময় ওই চক্রের অন্যরা ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। গায়ের গহনাসহ সবকিছু কেড়ে নেয়। পথচারীরা বিষয়টি টের পেয়ে প্রশাসনকে অবহিত করে।
এরপর সেখানে পুলিশ এসে কয়েকজনকে আটক করে। আটকদের একজনের নাম আব্দুস সামাদ। সে কুষ্টিয়ার বড় আইলচারা জোয়ার্দার পাড়ার সেলিম খাঁর পুত্র। সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সব অপরাধীর নাম প্রকাশ করে দেয়। তার তথ্য অনুযায়ী আরো কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ১৩জনের নামে মামলাও হয়। ওই মামলায় এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির সন্তানদের নামও রয়েছে। তাদেরকে আড়াল করতে প্রভাবশালী ওই চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। তারা চান ছিনতাইকারী, অপহরনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
উল্লেখ্য যে গত কয়েকদিন ধরে আইলচারা জোয়ার্দার পাড়ায় প্রতিনিয়তই দু:সাহসিক চুরির ঘটনা অব্যাহতভাবে চলছিলো। তারাই এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে বলে প্রকাশ করেছেন। স্টিল ব্রীজের কাছে প্রতিনিয়ই চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইয়ের তারাই মুল হোতা। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে বন্ধ হয়ে যাবে ওই কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা। বন্ধ হবে চুরি, ডাকাতিসহ সামাজিক অপরাধমুলক কর্মকান্ড। তাই তাদের সঠিক বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১০ জুন-২০২২//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post