মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা ।।আশ্রয়ন প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন ভুমিহীন ৩০ পরিবার।
এর আগে জমিসহ পাকা ঘল পেয়েছেন ৩৩৭ পরিবার। ইতিপুর্বে জমিসহ পাকা ঘর পেয়েন ৩৩৭ জন অসহায়ী ভুমিহীন পরিবার। আগামী বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘর উদ্ধোধন করবেন। এ উপলক্ষে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
ওই দিন সকাল সারে দশটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড আমিনুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ এবং সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই এপ্রিল) মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ ধাপে আগামী বৃহস্পতিবার জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন ৩০ গৃহহীন পরিবার। এর আগে যাদের জমি ও ঘর নেই গৃহ নির্মান কার্যক্রম সহায়ক হিসেবে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের ৩৩৭ জন অসহায় ভুমিহীন পরিবারকে বিনামুল্যে দুই শতক জমি, একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মান ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। নলকুপের পানি, টিউওবয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য। উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, ভাওড়া, লতিফপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, ওয়ার্শি ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮ একর সরকারী খাস জমিতে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৩৩৭ জন গৃহহীন পরিবারকে জমি ও পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন এসব অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয়ন কেন্দ্রে খুব ভাল ভাবেই আছেন। তৃতীয় ধাপে উপজেরার তরফপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ১৫ ভুমিহীন পরিবার এবং বানাইল ইউনিয়নে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৩ জন ভুমিহীন পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হচ্ছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই পাওয়া আছমা খাতুন, কমলা বেগমসসহ অনেকেই বলেন, একটি ঘরের অভাবে রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানের মধ্যে অনেক কষ্ট করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর কেউ রাখেননি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। জমি, পাকা ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। জমিতে সবজি রোপন করেছি। আমাদের সন্তানেরা পড়ালেখা করছে। সারা জীবন আমরা তাদের কাছে ঋণী। এখন আর আমাদের কষ্ট করতে হবে না।
এদিকে মির্জাপুর উপজেলায় আশ্রয়ন কেদ্রের পাকা ঘর নির্মান কাজ পরিদর্শন করেছেন ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ও বর্তমানে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিআেদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। প্রতিটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে কাজের মান দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতয়ি ধাপে ৩৩৭ জন ভুমিহীন অসহায় পরিবার জমি ও পাকা ঘর পেছেন। তৃতীয় ধাপে পাচ্ছেন আরও ১৮ জন ভুমিহীন পরিবার। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সম্মনয় করে সুষ্ঠুভাবে ঘরগুলো বন্টন করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ও জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি আশ্রয়ীন পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর নির্মান করে দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে ভুমিহীনদের তালিকা প্রনয়ন করে আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জমিসহ পাকাঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও গ্রহহীন পরিবারের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের বিনামুল্যে জমিসহ পাকা ঘর উপহার দেওয়া হবে। আগামী বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্প তৃতীয় ধাপে যারা জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন এগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করবেন। ইতিমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৯ জুলাই/২০২২//

Discussion about this post