![](https://dailydeshtottoh.com/wp-content/uploads/2022/09/66.jpg)
অনিয়মের অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে এবং সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা শাখার পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, আহবায়ক কমিটি দেওয়ার পর কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হওয়ায় সনাতন ধর্মের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসে। টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপির সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। নতুন কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সাধারন সম্পাদক বাবু প্রমথেস গোষ্মামী সংকর। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৫ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের জন্য। গত ২ আগস্ট জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সাধারন সম্পাদক প্রমথেস গোষ্মামী সংকরকে নির্দেশনা দেন।
এদিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে সনাতন ধর্মের কিছু নেতা ২৫ জনের নামের তালিকা দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তাব জমা দেন। জেলা কমিটির সভাপতি- সম্পাদক গত ২২ আগস্ট ঐ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়ে চিঠি দেন। কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলককে আহবায়ক এবং বিপ্লব কুমার সাহাকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য সদস্য রাখা হয়। ঐ আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের সনাতন ধর্মের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা আহবায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি- সাধারন সম্পাদক এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি-সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানায়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য না দিয়ে একটি পক্ষ মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি নিয়ে ছিলেন। ফলে আহবায়ক কমিটি নিয়ে এলাকায় নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে মির্জাপুর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা নেতৃবৃন্দ মির্জাপুর উপজেলার সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বসে নতুন ভাবে সুন্দর ও গ্রহনযোগ্য মির্জাপুর উপজেলায় পূজা উদযান পরিষদের কমিটি দেবেন। বাতিলকৃত আহবায়ক কমিটির কোন নেতা বেআইনী ভাবে কোন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হলে তাদরে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ (বাতিলকৃত) মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিদেযাদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সদস্য সচিব বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিন মাসের আগে আহবায়ক কমিটি বাতিলের কোন একতিয়ার জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি-সম্মাদকের নেই। গত ১৫ দিন আগে তাদের স্বাক্ষরে আহবায়ক কমিটি দিয়েছেন। এই আহবায়ক কমিটি বৈধ বলে তারা দাবী করেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ১২,২০২২//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post