দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম এর লেখা সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। আত্মহত্যার সময় পরনে থাকা ট্রাউজারের পকেট থেকে এ সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করে জহুরুল ইসলামের ছোটভাই আহাদ আলী নয়ন। জহুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ ধুয়ানোর সময় পরনে থাকা ট্রাউজার ও গেঞ্জি খুলে একটি ব্যাগে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে পরিস্কার করার জন্য ব্যাগ থেকে ট্রাউজার বের করে পকেট থেকে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে জহুরুল ইসলাম সুইসাইড নোটে যা লিখে গেছেন ‘বউয়ের দ্বারা এত অপমান সহ্য করে তার মত মহিলার সাথে সংসার করা সম্ভব হলোনা। তাপুর স্বামীর দরকার নাই, সে চায় বাড়ী আমি তাদের সবকিছু দিলাম, শেষ পর্যন্ত আমার জীবনটাও দিলাম, স্বামীর প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে তার সাথে কিসের সংসার। আমার মৃত্যুর জন্য তাপু ও তার পরিবার দায়ী’।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা হাইস্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক এবং দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামের মৃত পলান মন্ডলের ছেলে।
আল্লারদর্গা হাইস্কুলের পিছনে নবনির্মিত একতলা একটি বাড়ি নিজ নামে নেওয়ার জন্য শিক্ষক জহুরুল ইসলামের স্ত্রী তাপু বিভিন্নভাবে জহুরুল ইসলামকে মানষিক চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এনিয়ে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে শালিস বিচারও হয়। সবকিছু মেনে নিয়ে জহুরুল ইসলাম সংসার করতে চাইলেও তার স্ত্রীর অত্যাচার ও মানষিক চাপ বাড়তে থাকলে অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে একপর্যায়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post