কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাধুসঙ্গে সাধুদের ওপর হামলা চালিয়ে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে দূবৃর্ত্তরা। হামলায় অন্তত ৮জন বাউল ও সাধু আহত হয়েছেন। তারা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ হলেও হামলাকারীদের কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাউবাড়িয়া গ্রামে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাধুদের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, লাউবাড়িয়া গ্রামের মো. কিনু মন্ডলের ছেলে লালন ভক্ত পলান মন্ডল (৩৭) প্রতি বছরের ন্যায় শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘরোয়া পরিসরে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে দৌলতপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাউল, সাধু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরা সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। রাতে সেবা গ্রহণের সময় একই এলাকার আজাদ, বাবুল, রফি, মাসুম, ছালামত, জিয়ার আলী, মোশারফ হোসেন, বশির, সাইফুল, সুমন, আরিফুল ইসলাম, একরাম, আলফাজ, নুর হোসেন, জুলফিকার, হামিদুল ও লিটন সহ আরো ১০-১২জন সাধুদের ওপর হামলা চালায়।
সাধুসঙ্গের আয়োজনকারী ভক্তরা হামলাকারী দূবৃর্ত্তদের বাধা দিতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। সাধুসঙ্গে হামলাকারীরা ঘন্টাব্যাপী মারপিট, ভাংচুর ও বেপরোয়া তান্ডবলীলা চালিয়ে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে নির্বিগ্নে চলে যায়।
দূবৃর্ত্তদের হামলায় পলান মন্ডল (৩৭), পলাশ মন্ডল (৩০), প্রবীণ সাধু ফজল ফকির (৭০), মাজেদা ফকিরানী (৫০) ও আকলিমা খাতুন (৪০) জন সহ অন্তত ৮জন বাউল, সাধু ও লালন ভক্ত আহত হয়েছেন। আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সাধুসঙ্গের আয়োজক লালন ভক্ত মো. পলান মন্ডল বাদী হয়ে গতকাল রোববার দুপুরে দৌলতপুর থানায় এজাহার দিয়েছেন। তবে কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।
সাধুসঙ্গে হামলার ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, এইচএসসি পরীক্ষা চলার কারনে প্রতিবেশীরা সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে গিয়ে গান-বাজনা বন্ধ করতে বলে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বা// দৈনিক দেশতথ্য// ০৭, নভেম্বর ২০২২//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post