বাউল-সাধুদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে বাউল-সাধুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন দৌলতপুর উপজেলার শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সরকার আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রবীন সাধু দরবেশ নহির ফকির, হামলায় আহত সাধু ফজল ফকির, কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. শহিদুর রহমান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার উপদেষ্টা ও ওয়াকার্স পাটির কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহীন সরকার, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের বিভাগীয় সংগঠক ও কেন্দ্রীয় সদস্য আসলাম আলী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কারশেদ আলম, নির্বাহী সদস্য এ্যাড. সোহেলী পারভীন ঝুমু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান, ভোর হলো কুষ্টিয়া’র প্রশিক্ষক ও সংগঠক আনোয়ার বাবু, ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মজিবর রহমান, ফজুলল হক বুলবুল ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফ বিশ্বাস সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সরকার আমিরুল ইসলাম। সমাবেশে বাউল সাধুদের ওপর হামলাকারী দূবৃর্ত্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বক্তাগণ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও সমাবেশে বাউল, সাধু, লালন ভক্ত, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে। মিছিল শেষে দৌলতপুর-থানামোড় প্রধান সড়কে মানববন্ধনে অংশ নেন সকলে।  

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়া গ্রামে লালন ভক্ত পলান মন্ডলের বাড়ির একটি ঘরে ঘরোয়া পরিসরে আয়োজিত সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে এলাকার ২৫-৩০ জনের একদল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হামলা চালিয়ে বাউল-সাধুদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এতে প্রবীণ সাধু ফজল ফকির সহ অন্তত ৮জন বাউল ও সাধু আহত হোন।এ ঘটনায় মামলা হলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বাউল-সাধুসহ সর্বস্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বা// দৈনিক দেশতথ্য// ১৬ নভেম্বর//