সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার আদিতমারীর দূর্গাপুরের দিগলটারী সীমান্তে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ৪৫ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে।
এ সময় স্বর্ণের বারের বাহক আজিজার রহমান (৫৮) এক কৃষককে আটক হয়। এই স্বর্ণের বারের বাহকের কোমরে প্যাকেটে বাধা অবস্থায় ছিল।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ পাচারের খবর পাই। সীমান্তে ৯২৫(৭) এস এর পাশে কলা বাগানে বিজিবির একটি দলকে এ্যাম্বুজ করে রাখা ছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় দিগলটারী সীমান্তে এ্যাম্বুশ দলের হাতে কৃষক আজিজার রহমান (৫৫) আটক হয়। দূর্গাপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র সে। আটককৃত ব্যক্তির সীমান্তের কুষিজমি রয়েছে। কৃষকের আড়ালে স্বর্ণের বারের বাহকের অবৈধ কাজ করে সে। বাংলাদেশ হতে ভারতে এই স্বর্ণের বার যাচ্ছিল। তার কোমরে দুই টি প্যাকেটে ৪৫টি স্বর্ণের বার বাধা ছিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সীমান্তে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আটক কৃষক আজিজার রহমান বাংলাদেশের নাগরিক। তার শ্বশুর বাড়ি ভারতে। মাফিয়া হেনহাজুল হাজী এর বোন জামাই সে। ২৫ বছর ধরে এই সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের বার, ডলারসহ বহু মূল্যাবান হুন্ডির পণ্যে ভারতে পাচার কওে আসছিল।
স্বর্ণেরবারগুলো ভারতীয় কৃষক এরশাদের মাধ্যমে মেনহাজুল (হাজী মিনাজুদের) এর নিকট পৌছাতো। হাজী মিনহাজুলের বড় ভাই চোশমা ওলা হাজী নামে পরিচিত। সেও এক সময় মাফিয়া ব্যবসায়ি ছিল। হাজী মিনাজুলের স্ত্রী মমতা ভারতের দিলটারী গ্রাম প্রধান বা পঞ্জায়ে। এর আগেও বহুবার বাংলাদেশে মেনহাজুল হাজী আটক হয়ে ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। বিজিবির কাছে আটক স্বর্ণের বার বাহক আজিজজার রহমান স্বীকার করেছে, সে এর আগে বহুবার এভাবে স্বর্ণের বার ভারতে পৌচ্ছে দিয়েছে। বহুবছর ধরে এ কাজ করছে।
বিজিবির অধিনায়ক জানান, সকাল বেলা দূর্গাপরের জনৈক ব্যক্তি আটক আজিজারের হাতে প্যাকেট দুইটি ভারতে পাচার করতে দিয়েছিল। যার বিনিময়ে তিনি দুই পাশ হতে এক হাজার একহাজার করে মোট দুই হাজার টাকা পেত। এক হাজার টাকা পেয়েছে। এই ব্যবসার সাথে দেশিয় কোন চক্র বা প্রভাবশালী জড়িত জানার জোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আদিতমারী থানায় হুন্ডি ও অর্থপাচার আইনে মামলার প্রস্তুতি দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//চলছে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post