রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালীঃ প্রয়োজনীয় মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ নানা অব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা ফুটওভার ব্রিজটির । ১১অক্টোবর ২০১৫ সালে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে পটুয়াখালীর চৌরাস্তায় ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণ করা হয় ।
পথচারীদের অভিযোগ, ফুটওভার ব্রিজের উঠতেই সিড়ির সামনে বসে কাঁচা মালের বাজার সিড়ি বেয়ে একটু উপরে যেতে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ফুটওভার ব্রিজে রয়েছে রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর ওরস শরিফের পোস্টার আর ব্যানারে ছড়াছড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায় পটুয়াখালী ফুটওভার ব্রীজের সিড়ির মুখেই বসে কাচামালের দোকান এবং মানুষ ভীড় করে থাকে তাই মানুষ ফুটওভার ব্রীজের ব্যাবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করে, ফুটওভার ব্রিজের পুরো শরীরজুড়ে রয়েছে ব্যানার, ফেস্টুনের ছড়াছড়ি । বিশেষ করে নারী পথচারীদের পড়তে হয় বেশি বিড়ম্বনায়।
ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহারে প্রতিনিয়তই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ পথচারীদের। ফলে ব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন তারা।
কয়েকজন পথচারী জানান, ওভার ব্রিজের কোথাও কোথাও পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা ও মানুষের মল, সিগারেট এর ফেলা দেওয়া অংশ । সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বাতাসে উড়ে আসে ধুলোবালি। পটুয়াখালীর ফুটওভার ব্রিজটি রাতে নেশাখোর এবং ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে ।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, যখন এই ওভার ব্রিজটি বাস্তবায়িত হয়েছে তখন কিন্তু ওইটার প্রয়োজন ছিলো এখন বর্তমানে যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত হওয়ার কারনে এখন এটা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয় সেটা আমরা অনুধাবন করতেছি এবং আমরা অতি শীঘ্রই এই ব্রীজটাকে অন্য কোথায় নিয়ে যাবো ধরতে পারেন আমাদের সার্কিট হাউজের সামনে বা আমাদের যেখানে প্রয়োজন ডিএসসিসির মিটিং করে জনমত নিয়ে যেখানে দরকার সেখানে আমরা দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post