সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: ভালবেসে প্রেমিকের হাত ধরে পাঁচ মাস বাড়ি ছেড়ে ছিল পপি রানি (১৯)। ফিরল ভালবাসা দিবসে বাবার বাড়ি লাশ হয়ে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লাশ বাবার বাড়িতে এলে এক হ্নদয় বিদায়ক দৃশ্যের অবতারণা হয়। গতকাল রাতে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে পপির শ্বশুর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ৫ মাস আগে একই উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের রুহিদাস চন্দ্র রায়ের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র রায়কে ভালোবেসে বাবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করে পপি রানি। পপি রানির বাড়ি পাশের ইউনিয়ন চন্দ্রপুরের উত্তর বালাপাড়া গ্রামে। ভালই চলছিল নতুন সংসার। হঠাৎ এক মাস পূর্বে যৌতুকের জন্য স্বামী উজ্জ্বল ও তার পরিবার চাপ দেয়। পপিরানির ভ্যানচালক বাবা এক লাখ টাকা যৌতুক দিতে পারেনি। তবে মেয়ের সুখের আশ এনজিও হতে ঋণ করে কিছু টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা দেয়ার প্রুতিশ্রতি দেয়। এই নিয়ে স্বামী – স্ত্রীর সাথে প্রায় ঝগড়া হয়। স্বামী ও স্বামীর বাড়ির স্বজনরা প্রায় তাঁকে নির্যাতন করত। প্রতিবেশী সূতেত্র জানা গেছে, অষ্টপ্রহরের এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল সোমবার রাতে। এ নিয়ে স্বামীর সাথে বিবাদ হয়। গভীর রাতে বিছানায় গৃহবধুর পপিরানি(১৯) মৃতদেহ পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী পারিয়ে গেছে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের দিন মৃতদেহের পোষ্টমডেম করে বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। লাশ বাবার বাড়িতে এলে এক হ্নদয় বিদায়ক দৃশ্যেও অবতারণা হয়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জানান, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post