ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে পুলিশের এক এএসআই’র ঘুষ নেওয়ার ভিডিও করায় মোটর সাইকেল চুরির পেন্ডিং মামলা রাজন মিয়া নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুধু গ্রেফতারই না থানায় নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও মানসিক নির্যাতনও করা হয়েছে।
রোববার আদালত থেকে জামিন পেয়ে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী হরিণাকুন্ডু প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক রাজন মিয়া।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে তাকে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা থানায় তুলে নিয়ে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সাইফুল ইলামসহ পুলিশ সদস্যরা ভিডিও ধারনের দায়ে তাকে রাতভর আটকে রেখে গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করেন বলে জানা যায়।
পরে সকালে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সন্দেহজনক আসামী হিসেবে তাকে কোর্টে চালান দেয়া হয়। রোববার আদালত থেকে জামিনে বের হয় সে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি আশিক হোসেন নামের এক যুবক তার দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিয়ে থানায় মিমাংসাপত্র দিতে হলে হরিণাকুন্ডু থানার এএসআই রেজোয়ান আশিকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও ১ প্যাকেট সিগারেট ঘুষ নেয়। সেই সাথে এএসআই রেজোয়ানের ধুমপান ও গা টিপিয়ে নেওয়ার ভিডিও ধারণ করে সাংবাদিক রাজন। ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানতে পেরে রাজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মোটরসাইকেল চুরির মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজন চুরি ও মাদকের সাথে জড়িত। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাকে গ্রেফতার করেছি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৫ মার্চ ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post