গত কয়েকদিনে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর। ঝড়বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে এ জেলায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। মেহেরপুর জেলা শহর ছাড়াও জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলাতেও চলছে এ তাপদাহ। যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। তীব্র তাপদাহের কারণে পবিত্র রমাদানে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনিতেই রমাদানে রোজাদাররা কাহিল হয়ে থাকে তারপর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও প্রচন্ড তাপ এবং গরমে কিছটা হাসফাসে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরের পর থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া ও বিভিন্ন কর্মে ব্যস্ত থাকা লোকজনের শরীর স্যাতসেতে ভেজা পরিলক্ষিত হয়েছে। এ তাপদাহের মধ্যেই রোজাদারদের গরম উপেক্ষা করে ইফতার ও তারাবীহ সালাত আদায় করতে হয়। শহরের সড়কগুলোতে লোকজনের চলাচল একদমই কম পরিলক্ষিত হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
বেশ কয়েকজন তামাক ও ভুট্রা চাষীর সাথে কথা হলে জানান, এই গরমেই রোজা রেখেও তামাকের ঘরে তামাক পোড়ানোতে আগুন জ্বালানো ও ভুট্টা মাড়াইসহ অন্যান্য কাজ করতে তারা কষ্টের মধ্যে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার দিকে মেহেরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিউল ইসলাম মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক পুষ্টিবিদ তরিকুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে ঠাণ্ডা, জ্বর ও ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে। তাপদাহজনিত কারণে প্রধানত হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছে এসব রোগী বেশি আসছে। তিনি বলেন, যেহেতু এখন রমাদানের সময় তাই মানুষ গরমে পানি স্বপ্লতায় ভুগে থাকে, এজন্য বেশি পরিমাণে পানি, লেবু শরবত, বেলের শরবত এবং ডাব খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। আপাতত দু’একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১১ এপ্রিল ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post