কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারীর চরে প্রতিপক্ষের হামলা ও অগ্নিসংযোগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফারুক মন্ডলের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চিলমারীর চর বাজারে এলাকার শত শত নারী পুরুষ ফারুক মন্ডলের কফিনবন্দী লাশ নিয়ে ব্যানার ফেস্টুন হাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং মানববন্ধন করে। এসময় তারা শিকদার ও খা পক্ষের হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, কুষ্টিয়া জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. মোফাজ্জেল হক, ইকবাল হোসেন বিএসসি ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামানসহ নিহতের স্বজনরা। পরে বেলা ১১টায় জানাযা শেষে মন্ডলপাড়া কবরস্থানে ফারুক মন্ডলের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭.৪৫টায় অগ্নিদগ্ধ ফারুক মন্ডলের মৃত্যু হয়। নিহত ফরুক মন্ডল অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত দিনু মন্ডলের ছেলে। এ নিয়ে মৃতের দাড়ালো হলো পিতা-পুত্রসহ ৩জনে। এছাড়াও গত রোববার উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী বাজার উত্তরপাড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন গেদার ছেলে আক্তার মন্ডল (৩৭) ও মৃত নবীর মন্ডলের ছেলে দিনু মন্ডল (৭০) ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যু পথযাত্রী অবস্থায় লাইফ সার্পোটে রয়েছেন একই এলাকার কালা কাজীর ছেলে অগ্নিদগ্ধ সাইদুল কাজী (২২)।
উল্লেখ্য, চিলমারীর চরে রাস্তার জন্য মাত্র এক শতাংশ জমি নিয়ে শিকদার ও খা পক্ষ বনাম মন্ডল পক্ষের মধ্যে প্রায় দুইমাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে ২৭ এপ্রিল বিকেলে শিকদার ও খা পক্ষের লোকজন সংগবদ্ধ ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে মন্ডল পক্ষের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এসময় তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। হামলায় ৬জন আগুনে পুড়ে গুরুতর দগ্ধসহ ১৬জন আহত হয়। আহতদের কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অগ্নিদগ্ধদের ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ৩জনের মৃত্যু হয়।
আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে আরো একজন। আগুনে ইকবাল মন্ডল, মোজাম্মেল মন্ডল, জহুরুল মন্ডল ও রানা মন্ডলের বাড়ি পুড়ে ভষ্মিভূত করা হয়।
হামলকারীরা ওইসব বাড়ি থেকে গরু, ছাগল, ঘরের আসবাবপত্র ও সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় এবং কেটে ফেলে ফলদ ও বনজ বৃক্ষ। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় মন্ডল পক্ষের মোজাম্মেল মন্ডল বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল রাতে দৌলতপুর থানায় হত্যার চেষ্টা ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধারায় ৭৩জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন যার নং-৭০। মামলার সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল ২৭ ও ২৮ এপ্রিল রাতে চিলমারীর চরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ১৪জন আসামীকে গ্রেফতার করে। পরদিন রোববার তারা জামিনে ছাড়া পান। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ে চিলমারীবাসীর।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, চিলমারীর চরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফারুক মন্ডলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারীর চরে প্রতিপক্ষের হামলা ও অগ্নিসংযোগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফারুক মন্ডলের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চিলমারীর চর বাজারে এলাকার শত শত নারী পুরুষ ফারুক মন্ডলের কফিনবন্দী লাশ নিয়ে ব্যানার ফেস্টুন হাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং মানববন্ধন করে। এসময় তারা শিকদার ও খা পক্ষের হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, কুষ্টিয়া জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. মোফাজ্জেল হক, ইকবাল হোসেন বিএসসি ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামানসহ নিহতের স্বজনরা। পরে বেলা ১১টায় জানাযা শেষে মন্ডলপাড়া কবরস্থানে ফারুক মন্ডলের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭.৪৫টায় অগ্নিদগ্ধ ফারুক মন্ডলের মৃত্যু হয়। নিহত ফরুক মন্ডল অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত দিনু মন্ডলের ছেলে। এ নিয়ে মৃতের দাড়ালো হলো পিতা-পুত্রসহ ৩জনে। এছাড়াও গত রোববার উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী বাজার উত্তরপাড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন গেদার ছেলে আক্তার মন্ডল (৩৭) ও মৃত নবীর মন্ডলের ছেলে দিনু মন্ডল (৭০) ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যু পথযাত্রী অবস্থায় লাইফ সার্পোটে রয়েছেন একই এলাকার কালা কাজীর ছেলে অগ্নিদগ্ধ সাইদুল কাজী (২২)।
উল্লেখ্য, চিলমারীর চরে রাস্তার জন্য মাত্র এক শতাংশ জমি নিয়ে শিকদার ও খা পক্ষ বনাম মন্ডল পক্ষের মধ্যে প্রায় দুইমাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে ২৭ এপ্রিল বিকেলে শিকদার ও খা পক্ষের লোকজন সংগবদ্ধ ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে মন্ডল পক্ষের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এসময় তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। হামলায় ৬জন আগুনে পুড়ে গুরুতর দগ্ধসহ ১৬জন আহত হয়। আহতদের কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অগ্নিদগ্ধদের ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ৩জনের মৃত্যু হয়।
আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে আরো একজন। আগুনে ইকবাল মন্ডল, মোজাম্মেল মন্ডল, জহুরুল মন্ডল ও রানা মন্ডলের বাড়ি পুড়ে ভষ্মিভূত করা হয়।
হামলকারীরা ওইসব বাড়ি থেকে গরু, ছাগল, ঘরের আসবাবপত্র ও সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় এবং কেটে ফেলে ফলদ ও বনজ বৃক্ষ। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় মন্ডল পক্ষের মোজাম্মেল মন্ডল বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল রাতে দৌলতপুর থানায় হত্যার চেষ্টা ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধারায় ৭৩জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন যার নং-৭০। মামলার সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল ২৭ ও ২৮ এপ্রিল রাতে চিলমারীর চরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ১৪জন আসামীকে গ্রেফতার করে। পরদিন রোববার তারা জামিনে ছাড়া পান। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ে চিলমারীবাসীর।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, চিলমারীর চরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফারুক মন্ডলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৫ মে ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post