দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারের ফুটপাত দখল বসেছে দোকানপাট। শুধু হকার নন, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দখলেও রয়েছে প্রাগপুর-ভেড়ামারা সড়ক ও আল্লারদর্গা বাজারের প্রধান সড়কের ফুটপাত।
ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রাগপুর -ভেড়ামারা সড়কে ফুটপাত ও সার্ভিস লাইন দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে মহাসড়কে চলাচল করছেন।আল্লারদর্গা বাজারে বিভিন্ন পয়েন্টে ফুটপাত ও সার্ভিস লাইন দখল করে বাজার, দোকানপাট এবং গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। শিল্প-অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় এই উপজেলায় বহু লোকের বসবাস। কারখানার বেতন হলে মাসের প্রথমদিকে ফুটপাতের এসব দোকানে উপচে পড়া ভিড় থাকে।
এ সময় পথচারীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।সমাজের সচেতনমহল বলছেন, এই দুর্ঘটনার দায় অবশ্যই দখলদারের। মানুষের সচেতনতারও অভাব রয়েছে। সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।জানতে চাইলে ফল বিক্রেতা হালিম বলেন, আমরা ফুটপাত জায়গাতে দোকান দিলেও আমাদের দোকানপ্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।’ এই বাজার থেকে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন প্রভাবশালী একটি চক্র।
এ বিষয়ে ভ্যানচালক আতিয়ার বলেন, আল্লারদর্গা বাজারে সব দিকের ফুটপাত দখল করে দোকান পাঠ হয়েছে, পথচারীরা ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে না পেরে বাধ্য হয়ে রাস্তায় চলে আসে ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।পথচারী স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘ফুটপাত দখল করে যেভাবে বাণিজ্য করছে, এতে আমাদের রাস্তায় চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। বাধ্য হয়ে সড়কে হেঁটে চলাচল করতে হয়।
এতে অনেক সময় যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ফুটপাতে বাজার ও দোকানপাট বন্ধ করে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় ব্যবস্থা করে দিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকবে না।’চাঁদ সুপার মার্কেটের মালিক ইঞ্জিঃ রাকিব আহমেদ বলেন, আল্লারদর্গা বাজার কমিটি কে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ করেছি তারা কোন সমাধান করতে পারিনি পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি আজ পযন্ত কোন অভিযান হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৬ মে ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post