কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার দলুয়া ডিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফুল এর বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার নামে অর্থ আদায় ও চেক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।
অভিযোগ নিম্নরূপ ( হুবহু) বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আক্তারুজ্জামান (৩২), পিতা-মোঃ বিল্লাল হোসেন, সাং-রনপিয়া (টাউয়ারপাড়া), জুনিয়াদহ, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া অত্র থানায় হাজির হয়ে ভেড়ামারা থানাধীন জুনিয়াদহস্থ দলুয়া ডিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবাদী-০১।
মোঃ আশরাফুল মাস্টার (৪৫), পিতা-মৃত আজিমদ্দিন শাহ, সাং-মলুয়া, জুনিয়াদহ, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়ার বিরুদ্ধে এই মর্মে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করছি যে, অনুমান চার বছর পূর্বে উক্ত বিবাদী দলুয়া হাইস্কুলে চাকুরীদানের প্রস্তাবদিলে আমি বিবাদীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার কথানুযায়ী চাকুরী প্রাপ্তির আশায় চাকুরী সংক্রান্তে ভ্যারিভিকেশন, মেডিকেল, জামানত সহ বিভিন্ন খরচ বাবদ সর্বমোট নগদ ৩,৫০,০০০/= (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করে থাকি। বিবাদীকে প্রদেয় সমুদয় টাকার বিপরীতে তার নিজ নামীয় রুপালী ব্যাংক লিমিটেড ভেড়ামারা শাখায় হিসাব নং-৩৬৪ এর চেকপাতা নং-৯১১৮৪১৩ ও হিসাব নং-৩০১৯ এর চেকপাতা নং-৪৪৩৪৮৬৭ ঘরে যথাক্রমে ২,৫০,০০০/= (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ও ১,০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকার পরিমান উল্লেখ পূর্বক তার নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত দুইটি চেকপাতা জামানত হিসাবে আমার অনুকূলে প্রদান করে।
বিবাদী নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও আমাকে চাকুরীদানে ব্যার্থ হয়ে সমুদয় টাকা আমাকে ফেরদানে আজকাল তালবাহানা করে কালবিলম্বের মাধ্যমে ঘোরাতে থাকে। বিবাদীর প্রদেয় চেকপাতা দুইটি নিয়ে আমি ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করলে বিবাদীর প্রদেয় চেকপাতা দুইটির তার নিজ নামের নয় এই মর্মে অবগত হই। ঘটনার বিষয়ে, ইং-০৩/১১/২০২২ তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। দায়েরকৃত অভিযোগের পেক্ষিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মোকাবিলায় সালিশ করা হলে উক্ত বিবাদী পুনরায় সকলের উপস্থিতিতে সমুদয় টাকা পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ করবে এই মর্মে লিখিতভাবে অঙ্গিকার প্রদান পূর্বক এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ভেড়ামারা থানাধীন গোলাপনগর শাখায় তার নিজ নামীয় হিসাব নং-৫৮৩ এর চেকপাতা নং-৪৫৮৪৬২৭ এ ৩,৫০,০০০/= (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার পরিমান উল্লেখ পূর্বক ও নিজ নামে স্বাক্ষরকৃত চেকপাতাটি পুনরায় আমার অনুকূলে জামানত প্রদান করে। তথাপি বিবাদী নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও আমার সমুদয় টাকা পরিশোধ করতে আজকাল তালবাহানা করে কালবিলম্ব শুরু করে। এরই জের ধরে, ইং- ০৭/০৫/২০২৩ তারিখ আমি বিবাদীর সর্বশেষ প্রদেয় চেকপাতাটি নিয়ে ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করলে
চেকপাতাটির হিসাব নাম্বার বিবাদীর নয় এই মর্মে অবগত হই। ইং-০৮/০৫/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীর বাড়ির সামনে গিয়ে বিবাদীকে তার প্রদেয় চেকপাতা তার নিজ নামের নয় এই মর্মে অবগত করে আমার পাওনা টাকা আমাকে পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ জানালে বিবাদী ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে
অকথ্যভাষায় গালিগালাজ প্রদান করতঃ মারমুখি আচরন করে ধারালো অস্ত্র দ্বারা খুনজখমের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে। সাক্ষী-০১। মোঃ সাজিবার প্রামানিক (৩৮), পিতা-মৃত মনির উদ্দীন প্রামানিক, ০২। মোঃ হক সাহেব (৩৯), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দীন, উভয় সাং-রনপিয়া, জুনিয়াদহ, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াদ্বয় সহ অনেকেই ঘটনা দেখে ও শুনে। বিবাদী হিংস্র প্রকৃতির লোক এবং আইন অমান্যকারী। বিবাদীর নিকটে পুনরায় আমার পাওনা সমুদয় টাকা পরিশোধ করার কথা জানাতে গেলে বিবাদীর দ্বারা আমার প্রাণনাশ সহ যেকোনো প্রকার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশু সম্ভাবনা থাকায়, বিষয়টি নিয়ে পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হলো।
এ বিষয়ে শিক্ষক আশরাফুল মাস্টার কে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার রিং করলেও তিনি রিং না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৯ মে ২০২৩
Discussion about this post