কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আমদহের নতুন পাড়ার বয়োবৃদ্ধ আবুল হোসেন (৭৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮ টায় মারা গেছেন। তিনি সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে ৫০ দিন ধরে বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করেও হেরে গেছেন। একজন জেষ্ঠ্য নাগরিকের প্রতি নূন্যতম মমত্ববোধ সন্ত্রাসীরা দেখায়নি।
জানা গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য লালুর সাথে তার ছেলেদের জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্ধ মিমাংশার কথা বলে রবিবার (২৮ মে) সকাল ৮ টায় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তার বাড়ীতে আসে লালু মেম্বার। তারা পরিকল্পিত ভাবে লালু মেম্বারের হুকুমে তার ছেলেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় এনামুল লোহার রড দিয়ে তার ছেলে বাদশাকে পিটিয়ে বাম হাতের হাড় (হিউমেরাস) চুরমার করে দেয়। বাদশার ডাক চিৎকারে ছোট ভাই ইয়ারুল (৩০) জিয়ারুল (৪০) ছোট ভাইয়ের বউ বুলবুলি খাতুন (৩৫) এগিয়ে আসে। বৃদ্ধ আবুল হোসেন (৭৫) তার ছেলেকে রক্ষা করতে যায়। এসময় মবিদুল নামের একজন হামলাকারী লোহার রড দিয়ে আবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করে। এরপর তাকে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অর্থোপেডিক্স বিভাগে। চিকিৎসক তার অবস্থা বুঝে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর তিনি আর সুস্থ্য হতে পারেন নি। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের রক্ষা করে। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আবুল হোসেনরে ছেলে হারুনর-রশিদ-বাদশা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫৮ তাং ২৯/৫/২৩ ইং,দৌলতপুর জি আর ২৯৬/২৩।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৭ জুলাই ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post