শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় বিয়ের মাত্র ৫ দিনের মাথায় নববধু ও আযম খান কমার্সের মাস্টার্সের মেধাবী ছাত্রী তানিয়াকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও অধ্যক্ষসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানাযায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার গড়ইখালীর ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল ইসলাম এর মেয়ে খুলনা আযমখান কমার্স কলেজের ম্যানেজমেন্ট মাস্টার্স’র শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্রী তানিয়ার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় উপজেলার মঠবাটির জিল্লুর রহমানের ছেলে সাইফুলের। সাইফুল ইসলাম গদাইপুরের মঠবাটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
মেয়ের পরিবারের দাবি, বিয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আমিনুল ইসলাম।
তানিয়ার পারিবারিক সুত্র জনান, বিয়েতে যৌতুক হিসেবে স্বর্ণের বালা, কানের দুল ও গলার হারসহ ৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ জামাই সাইফুলকে মটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সাইফুলের পরিবারের দাবি, তাকে পালসার মটর সাইকেলের জন্য আরো টাকা দিতে হবে। এছাড়া বিয়েতে দেওয়া উপ-ঢৌকনের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। যার ফলে বিয়ের শুরুতেই নানা অশান্তিতে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তানিয়া।
এ অবস্থায় শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে পাগল আখ্যা দিয়ে তার শরীরের সব গহনা খুলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর তানিয়ার ফুফা পৌর সদরের বাসিন্দা এসএম ইয়াসির আরাফাত আক্কাস বাদী হয়ে তানিয়ার স্বামী ইয়াসিন ইসলাম, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। ধারা: ১১(গ) ৩, ২০০০ সালের নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন। যার নং-৪।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Discussion about this post