জঙ্গী আস্তানা থেকে বিস্ফোরক প্রশিক্ষন ম্যানুয়াল ধারালো অস্ত্র টাকা ও স্বর্ণালংকার মিলেছে। ১০ জনের বাড়ি ৭টি ভিন্ন জেলায়
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আটক দশজনের বাড়ি ৭টি ভিন্ন জেলায়।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামের একটি বাড়িতে রাতভর অভিযান শেষে শনিবার (১২ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিরা ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। আস্তানা থেকে ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী; কমব্যাট বুট, বক্সিন ব্যাগ এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই উদ্ধারের তথ্য জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন ব্যাপক সংখ্যক লোকদের উগ্রবাদের দীক্ষা দিয়েছে। সেসব লোকজন হিজরতের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন। শুরুতে আমাদের কাছে তথ্য ছিল মৌলভীবাজারের যে কোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানাটি তৈরি করেছে। গতকাল আমরা চূড়ান্ত তথ্য পাই। স্থানীয়রা জানায়, দুই মাস আগে ওই জায়গায় বসতি গড়েছিল তারা।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘এই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক আলামত পেয়েছি। যেটা পরবর্তী অভিযানে কাজে দেবে। এরকম একটি নির্জন এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় জমি কিনে জঙ্গি আস্তানা তৈরি করে সদস্যদের হিজরতের নামে এখানে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমরা অঙ্কুরেই তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য যারা এর সঙ্গে জড়িত-বেশ কিছু আলামত পেয়েছি। এটা নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন। এর আগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা গেছে, এই সংগঠনের নাম ইমাম মাহমুদের কাফেলা। এই সংগঠনের মূল ব্যক্তির নামও আমরা পেয়েছি। আশা করি তাকে পেয়ে যাবো।
আটককৃতদের নাম পরিচয় জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। আটক ১০ জন ৭টি ভিন্ন জেলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের কেউ তাদের সঙ্গে ছিল কিনা, সেটা জানা যায়নি। আটককৃতরা সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও বগুড়ার বাসিন্দা।
আটক অভিযুক্তরা হলেন-সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নলতা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০), তাদের মেয়ে হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০), কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার কালনার আবুল কাশেমের ছেলে হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার রসুলপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২২), তার স্ত্রী মেঘনা (১৮), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রাফিউল ইসলাম (২২), পাবনার আটঘরিয়ার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২), নাটোরের চাঁদপুর গ্রামের সোহেল তানজীম রানার স্ত্রী মাইশা ইসলাম (২০) ও বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিজবলাই গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮)। তাদের সঙ্গে তিন শিশু রয়েছে। তাদের বয়স ছয় বছরের নিচে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ১২,২০২৩//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post