সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রাম থেকে দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোর রাতে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার বাগানবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মালামালসহ তাদের আটক করা হয়। ]
অবৈধভাবে আমদানিকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মুল্য ৬ লক্ষ টাকা বলে জানায় র্যাব।
আটককৃতরা হলো ইব্রাহিমপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে তাজুয়ার আফজাল শিহাব ও মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে নূর হোসেন। আটককৃত শিহাব চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার আপন ভাতিজা বলে জানান র্যাব ও এলাকাবাসী।
অভিযানের ব্যাপারে জানতে চেয়ে চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার মুঠোফোনে কল করলে র্যাবের হাতে আটককৃত শিহাব তার আপন ভাতিজা স্বীকার করে বলেন,আমার ভাতিজা বোর্ডারহাটে ব্যবসা করে। তার হেফাজতে ভারতীয় মালামাল পেয়েছে বলে তাকে র্যাব আটক করেছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,র্যাব ৯ সিলেটের অধীনস্থ সুনামগঞ্জ সিপিসি ৩ এর টহলদল ভারতীয় মালামাল জব্দসহ ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমার গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে কোর্টহাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সুনামগঞ্জ র্যাব সিপিসি-৩ এর অধিনায়ক এডিশনাল এসপি মতিয়ার রহমান বলেন,ভারতীয় মালামালসহ গ্রেফতারকৃত শিহাব ও নূর হোসেন নামের ২ যুবককে আমরা ইতিমধ্যে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছি। র্যাব জানায়, চেয়ারম্যানের ভাতিজা শিহাব সীমান্ত এলাকার সকল চোরাকারবারীদের গডফাদার হিসেবে কাজ করতো। সে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়,চেয়ারম্যানের বাংলোঘর ও তাদের বাগানবাড়ীতে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় মালামাল মজুত করতো। ইতিপূর্বে ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সিঞ্চন আহমেদ ২ বার তাকে আটক করার চেষ্টা করেন। প্রতিবারই তার পক্ষে কোননা কোন গডফাদার তদবীর করতো। এবার র্যাব কোন তদবীরে সাড়া না দিয়ে সোজা মালামালসহ গ্রেফতার করে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post