কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সঞ্জয় প্রামাণিক হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রাবণী দাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, ইয়ামিন ইসলাম, মো. প্রত্যাশা, অর্ণব ও মো. তামিম। তাদের সবার বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১২ আগস্ট পাঁচ আসামির প্রত্যেককে বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত রবিবার আবেদন শুনানি শেষে প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ডে পাঠান। এ মামলায় আরও ৯ আসামি জামিনে আছেন। তাদের জামিন বাতিলের আবেদন করলে আদালত তা বহাল রাখেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান আসামি শোভনকে ঘটনার দিন আটক করে পুলিশ। আরও চার আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত। জেল হাজতে থাকা পাঁচ আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আদেশের কপি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় একটি মন্দিরের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ২ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভেড়ামারা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় প্রামাণিকের ওপর হামলা চালায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সঞ্জয়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট সকালে সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনায় ৪ আগস্ট সঞ্জয়ের স্ত্রী বিথী রানী বাদী হয়ে জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর মামলার ধারা সংযোজন করা হয়।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২০ আগস্ট ২০২৩

Discussion about this post