খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অভিযানে ১টি রিভলবার, ৭ রাউন্ড রিভলবারের গুলি, ২টি ১২ বোর শর্টগানের গুলি, ১টি পিস্তল, ৪ টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২ টি কালো রংয়ের ওয়ান শুটার গান, পিস্তলের গুলি ২৩ রাউন্ড গুলি, SLR এর গুলি ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার পূর্বক শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সে নগরীর ২৫/৩, বি কে রায় রোড বাইলেন নিবাসী মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন একটি টিম উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পূরে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ২৫/৩, বি কে রায় রোড বাইলেনে একজন ব্যক্তি অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ অবস্থান নিয়েছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে যৌথভাবে অভিযানে অংশ নেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ), মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এ, জেড, এম তৈমুর রহমান, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক, এসআই(নিঃ) অনুপ কুমার ঘোষ, এসআই(নিঃ) রহিত কুমার বিশ্বাস, এসআই(নিঃ) হরষিৎ মন্ডল, এসআই(নিঃ) তৌহিদুর রহমান, এসআই(নিঃ) বিপ্লব কান্তি দাস, এসআই(নিঃ) মাসুম বিল্লাহ, এএসআই(নিঃ) রফিকুল ইসলাম, কং/৬৬৭৫ দীপন রায়, কং/৪৮৫১ মোঃ এসকেন্দার আলী, নারী কং/৫২৮০ ববিতা পারভীন।
এর আগে, অভিযান পরিচালনা করে আসামীর বসতবাড়ির পূর্ব পাশের রুমের খাটের নিচ থেকে ১টি রিভালবার, ৭ রাউন্ড গুলি, ১২ বোরের ২টি ভারী কার্তুজ উদ্ধার হয়।
পরবর্তীতে আসামীর দেওয়া তথ্য ও স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই দিন রাত সাড়ে ১০টায় শেখপাড়া, হক নাসিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপরীতে আসামীর মাকের্টের পূর্ব পাশের গোডাউন ঘর হইতে ১টি পিস্তল, ৪টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি ওয়ান শুটারগান, ঝখজ এর গুলি ০৩ রাউন্ড উদ্ধার হয়। সর্বশেষ এ ঘটনায় ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং(০৬, তারিখ-০৮/০৯/২০২৩খ্রিঃ)।
পুলিশ জানায়, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) এর জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলায়। তবে সে তার পরিবারের সাথে ছোটবেলা থেকে খুলনায় বসবাস করে আসছেন। খুলনার শেখপাড়ায় তার নিজের এলপিজি গ্যাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে তিনি দীর্ষদিন যাবত অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন।
সর্বশেষ গ্রেফতারকৃত আসামী অস্ত্র কোথা থেকে এনেছে এবং তার সাথে কারা কারা জড়িত আছে তার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্র ব্যবসার মূল রহস্য উদঘাটন এবং উক্ত অস্ত্র কোথায় কোথায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিলো এবং তার সাথে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা সে সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post