চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নকল সয়াবিন তেলের কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ তেলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৭) চট্টগ্রাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
র্যাব বলেন, খোলা তেলে ভেজাল উপাদান মিশিয়ে আয়ান ফর্টিফাইড সুপার পাম অয়েল ও এস জালাল সয়াবিন তেল নামে প্লাস্টিকের বোতলে করে তারা তেলগুলো বাজারজাত করে আসছিলো। এ তেল খেলে নানা রোগ-ব্যাধিসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনব্যাপী চালানো ওই অভিযানে পটিয়া উপজেলার জিরি এলাকার মৃত মো. মুছার ছেলে মোঃ আলমগীর (৩৬), বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ এয়ারবেগ এলাকার লিটনের ছেলে সাইফুল ইসলাম হৃদয় (১৮) ও বায়েজীদ বোস্তামী অক্সিজেন এলাকার মৃত মো. সায়েদ এর ছেলে মোঃ শাকিল (১৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে আলমগীর হলেন এ ব্যবসার মূল হোতা। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ২ হাজার ৬৬১ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি ‘আয়ান ফর্টিফাইড’ সুপার পাম অয়েল ও এস জালাল সয়াবিন তেল নামে প্লাস্টিকের বোতলে করে বাজারজাত করতেন। তারা অনুমোদনহীনভাবে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে আসছিলেন।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘খোলা বাজার হতে সয়াবিন তেল সংগ্রহ করে তাতে ভেজাল অস্বাস্থ্যকর উপাদান মিশিয়ে অবৈধভাবে ভেজাল সয়াবিন তেল তৈরি করেন। পরে এসব তেল ১৮৫ লিটারের বড় ড্রামে করে গুদামে সংরক্ষণ করেন। বড় ড্রাম হতে ৫, ২, ১ লিটার, ৯০০ এমএল ও ৫০০ এমএল প্লাষ্টিকের বোতলে ঢেলে বিভিন্ন লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে গোডাউনে সংরক্ষণ করেন।’
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের এবং জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেল জন্য কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post