একসময় উপকূলের হাট বাজারে বড় সাইজের তাজা ইলিশ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন একটি এককেজির ইলিশ
১৬শ-১৭শ টাকা কেজি। তাই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের পক্ষে
চড়া দামে ইলিশ কিনে খাওয়া সম্ভব না বিধায় পরিবারের সদস্যদের স্বাদ পূরনে
ক্রয়সীমার মধ্যে থাকা অর্ধ কাটা ইলিশ কিনছেন তারা।
কুয়াকাটা সংলগ্ন আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের খুচরা মৎস্য ব্যবসায়ী মো.
জুয়েল আলিপুর বাজারের শেখ রাসেল সেতুর নিচে সন্ধ্যার পরে অর্ধ কাটা ইলিশ
বিক্রি করছেন। জুয়েল জানায়, বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই ইলিশ কিনতে আসেন
বাজারে। কিন্তু দাম হাতের নাগালের বাইরে থাকায় উচ্চবিত্তরা তাজা ইলিশ
কিনলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ফিরছেন খালি হাতে। তবে বিভিন্ন মাছে খাওয়া,
জালে আটকে লেজ, মাথা, শরীরের একাংশ কাটা ইলিশ এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের
ভরসা।
দেলোয়ার (৫৫) নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমি ইলিশ কিনতে বাজারে এসেছি।
কিন্তু এসে দেখি ভালো তাজা ইলিশের অনেক দাম। যা আমার পক্ষে কেনা সম্ভব
না। তাই আমি কাঁটা ইলিশের দাম জিজ্ঞেস করছি। ছোট-বড় মিলানো কাটা এক
কেজি ইলিশ চাচ্ছে আমার কাছে ৩৫০ টাকা। ভাবছি এক কেজি কাটা ইলিশ নিয়ে
বাড়িতে যাব।’
আলীপুর বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সমুদ্র থেকে যখন জেলেরা
মাছ নিয়ে ফিরে। তখন তাদের মাছের মধ্যেও অনেক মাছ আসে মাথা, লেজ এবং
শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটা। এগুলো এক সময়ে জেলেরা নিয়ে আসতো না। কিন্তু
এখন এগুলোর অনেক চাহিদা। তাই এই মাছগুলো জেলেরা নিয়ে আসলে আমরা অর্ধেক
দামে কিনি। পরে মাছগুলোকে আমরা সাইজ অনুযায়ী ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত
কেজি ধরে বিক্রি করি। যে কারণে অনেক গরিব মানুষ এবং মধ্যবিত্তরা ইলিশের
স্বাদটা নিতে পারে। তুলনামূলক এখন ভালো মাছের চেয়ে এই অর্ধ-কাটা
মাছগুলোই বেশি চলে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post