মেহেরপুর জেলায় আমন ধানে দেখা দিয়েছে গোড়া পচা ও মাঝরা পোকার আক্রমণ। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বালাইনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। এতে করে উৎপাদন বিপর্যয়ে পরবে বলে ধারণা করছেন এ জেলার চাষিরা। চাষীদের অভিযোগ একাধিকবার কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে এর প্রতিকার চাইলে কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি তারা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পোকার আক্রমণ বেড়েছে।
জেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে দেখা দিয়েছে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। গোড়া পচা রোগে ধান গাছ মারা যাচ্ছে আর মাজরা পোকায় ধানের ডগা কেটে দিচ্ছে। এসব গাছ বেচে থাকলেও শিষ বের হবেনা। ফলে ধানগাছ থেকে কোনও ফলন হবেনা । কৃষকরা দফায় দফায় বালাইনাশক কীটনাশক ব্যবহার করে পোকা দমন করতে পারছেনা। যদি আমনের মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন করা না যায় তাহলে আমন ধানের ফলন হবে না বলেও মন্তব্য করেন ধান চাষিরা ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমী এ জেলায় ২৬ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। কিছু কিছু জমিতে ধানের শিষ চলে এসেছে আবার কিছু জমিতে অল্প দিনের মধ্যেই ধানের শিষ আসবে ।
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের ধান চাষী ফারুক জানান, বিভিন্ন রকম বিষের ব্যাবহার করেও আমরা ধানক্ষেতের পোকা মারতে পারছিনা। আমরা মূর্খ মানুষ কি করতে হবে বুঝতে পারছিনা । আবার কৃষি অফিস থেকেও কোন পরামর্শ পাচ্ছিনা ।
মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের হেলাল জানান, আমি দুইবিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। যেভাবে ধান মরতে শুরু করেছে গত বছের তুলনায় অর্ধেক ফলন আসবে কিনা সন্দেহ আছে । মাঝরা পোকা ও গোড়া পচা রোগের এখন পর্ষন্ত কোন ধরনের উপায় জানতে পারেনি।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃ শামসুল আলম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমিতে প্রকার আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমিতে বাশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি । যেন পাখিরা জমির পোকা খাওয়ার জন্য ঔসব ডালে বসতে পারে ।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post