সিলেটে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে বিরোধীয় ভূমিতে মুক্তিযোদ্ধার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারের ‘বীরনিবাস’। বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারে এ প্রকল্প।
এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ ৭ জনকে বিপক্ষ করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে বুধবার (১৮অক্টোবর) এ অভিযোগ করেন সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিজয় পাড়ুয়া গ্রামের আদিবাসী মনিরাজ সিংহ।
অভিযোগে সিলেটের জেলা প্রশাসক ছাড়াও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,সহকারী কমিশনার (ভূমি) কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি-সহ ৭ জনকে বিপক্ষ করা হয়েছে।
জেলা জজ আদালতসহ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এসএ রেকর্ডীয় জেএল ৪ নং বিজয় পাড়ুয়া মৌজার এস ১৯৫ দাগে ০.১১২৫ একর (শতাংশ) বাড়িরকম ভূমির রয়েছে। এই ভূমি নিয়ে ওই গ্রামেরে আদিবাসী থন সিংহ ও মুক্তিযোদ্ধা মনি সিংহ’র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে সম্প্রতি সহকারী জজ আদালত, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট-এ একটি স্বত্ব মোকদ্দমা (নং-৫০/২০২৩) দায়ের করা হয়। ওই মোকদ্দমায় আদালত কমিশন করিয়ে গত ৬ জুন থেকে পর পর দুটি আদেশে ওই ভূমির উপর স্থিতাবস্থার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা মনি সিংহ গায়ের জোরে বিরোধীয় ওই ভূমির উপর সরকারের ‘বীরনিবাস’ প্রকল্পের আওতায় পাকা দালানঘর নির্মান করিয়ে চলেছেন। সরকারের সম্পূর্ণ অর্থায়নে ও সিলেটের জেলা প্রশাসনের সার্ক তত্বাবধানে বীরনিবাস নামের দালানঘরটি নির্মান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার অনুমোদিত একজন ঠিকাদার বিরোধীয় ভূমির উপর বীরনিবাস প্রকল্পের ঘরটি নির্মান করে চলেছেন। আদালত থেকে বারবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্টরা নির্মান কাজ বন্ধ করছেনা না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে । বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে দেওয়া আবেদনে অবিলম্বে আদালতের আদেশ আমলে নিয়ে সরকারের ‘বীরনিবাস’ প্রকল্পের গৃহনির্মান কাজ বন্ধের দাবি জানানো হয়।
আবেদনের সাথে মামলা ও আদেশের ১৭ পাতা ফটো কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আবেদনের অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ভূমি মন্ত্রনালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৭ অক্টোবর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post