রোগীদের আকৃষ্ট করতে যশোরের কিছু চিকিৎসক নিয়মবহির্ভূতভাবে নামের পাশে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড ও ব্যবস্থাপত্রে বিভিন্ন ডিগ্রির নাম লিখে নিজেদেরকে তারা বড় মাপের চিকিৎসক হিসেবে জানান দিচ্ছেন। অথচ সেগুলো বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) স্বীকৃত কোনো ডিগ্রি না। মূলত রোগী ধরতে তারা এই ফাঁদ পেতেছেন।
সূত্র বলছে , যশোর সদর হাসপাতাল ঘিরে অসংখ্য বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একাধিক চিকিৎসকের সাইনবোর্ডে এফসিপিএস (পার্ট-১), এফসিপিএস (পার্ট-২) ও এফসিপিএস মেডিসিন (শেষ পর্ব) লেখা দেখা যায়। গ্রাম থেকে আসা রোগীরা না বুঝে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তাদের কেউ এফসিপিএস পাস চিকিৎসক না। এফসিপিএস কোর্সে তারা অধ্যয়নরত।
২০১০ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন জারি করে কোন চিকিৎসক পিজিটি, বিএইচএস, এফসিপিএস (পার্ট-১ পার্ট-২), এমডি (ইন কোর্স), (পার্ট-১ পার্ট-২), (থিসিস পর্ব,শেষ পর্ব), এমএস (ইন কোর্স),(পার্ট-১ পার্ট-২), (থিসিস পর্ব), (শেষ পর্ব) কোর্স শেষ বা সিসি ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে এই আইন মানছেন না যশোরের এক শ্রেণির চিকিৎসকেরা। তারা উচ্চতর নামীয় ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করছেন। এতে রোগীরা সুচিকিৎসা না পেলেও অসাধুরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, এফসিপিএস পার্ট-১ ও পার্ট-২ কোনো ডিগ্রি নয়। রোগী ও স্বজনকে আকৃষ্ট করতে চিকিৎসকেরা নামের আগে ও পরে এটা ব্যবহার করে থাকেন। অবৈধ ডিগ্রিধারীদের তালিকা তৈরি করে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post