কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদুর দখল হওয়া জমিতে উচ্চ আদালত থেকে ইনজাংশন জারি করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম জালিয়াতির মাধ্যমে এই সম্পত্তি দখল করে রেখেছিলেন। আদালতের নির্দেশের পর রশিদুজ্জামান দুদুর ওয়ারিশ গনের পক্ষে তাদের আইনজিবীরা গত মঙগলবার কুষ্টিয়ার লাহিনী পাড়া মৌজার একটি জমিতে ইনজাংশনের নোটিশ টাঙগিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু ১৯৮৮,৯২ ও ৯৪ সালে বায়তুল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,আলহাজ্ব ডাল মিলস লিমিটেড এবং বায়তুল ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড নামে একাধিক কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় তিনি এবং তার স্ত্রী আফরোজা জামান, হাজী রবিউল ইসলাম, তার স্ত্রী বানু ইসলাম এবং বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও তার স্ত্রী লতা কেজরিওয়ালকে ওই কোম্পানীর সেয়ার হোল্ডার ও পরিচালক নির্বাচন করেন। এরপর ২০০০ সালের পরিচালকগন কোম্পানির বিধি অনুযায়ী হাজী রবিউল ইসলাম, বানু ইসলাম, বিজয় কেজরিওয়াল, লতা কেজরিওয়াল, তাদের সকল শেয়ার, আলহাজ্ব রশিদুজ্জামান দুদু, আফরোজা জামান ও খন্দকার সাবরিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
পরবর্তী সময়ে উল্লেখিত চারজন শেয়ার হস্তান্তর কোম্পানির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি কুক্ষিগত করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে একটি নীল নকশা প্রণয়ন করে এবং তারা তাদের হস্তান্তরকৃত শেয়ারের দলিল দস্তাবেজ গোপন করে শেয়ার হস্তান্তর না দেখিয়ে আগের পরিচালক পর্ষদ বহাল দেখান। পরে হাজী রবিউল ইসলাম ২০১১ সালের নভেম্বর সকল তথ্য গোপন করে আগেই হস্তান্তর করে দেয়া শেয়ার আবারো তার দুই ছেলে রাশেদুল ইসলাম এবং রাকিবুল ইসলামের কাছে বিত্রি করেন। এছাড়া বিজয় কেজরিওয়াল ও লতা কেজরিওয়ালের শেয়ারও নিজেদের নামে নিয়ে নেন।
কোম্পানি গুলির স্থাবর সম্পত্তি মধ্যে ১৮০/২, নুর উদ্দিন আহমেদ রোডে কুষ্টিয়া পৌরসভার কালিশঙ্করপুর মৌজার ফ্যাক্টরি বিল্ডিংসহ মোট ৬৩ শতাংশ সম্পত্তি,কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের রাহিণীপাড়া মৌজার ৬ একর সম্পত্তিসহ সকল সম্পত্তি হাজী রবিউল ইসলাম ২০১৫-১৬ সালে নিজের স্ত্রী বানু ইসলামের নামে ফ্যাক্টরিসহ কোম্পানির ৬৩ শতাংশ জমি এবং ২০২১ সালে ৩৫০৮ এবং ৩৫০৭ নাম্বার দলিলের মাধ্যমে নিজ মেয়ে মিসেস জাকিয়া মাসুদ, এবং তার মেয়ে জামাই চৌধুরী খালেদ মাসুদের নামে ৩.২১একর জমি বিক্রি করেন।
প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এসব সম্পত্তি এবং শেয়ার হস্তান্তরের বিরুদ্ধে খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদুর ওয়রিশগন ২০২১ সালে মহামান্য হাইকোর্ট বরাবর কোম্পানি আইন অনুযায়ী মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ এসব সম্পত্তি জাল জালিয়াতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে উক্ত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, হাজী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।#
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৫ অক্টোবর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post