সিলেটের বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রঘুপুর নোয়াগাঁও (দ্বীপপুর) গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র ও বিশ্বনাথ পৌর বিএনপি প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদ মিয়া।
গত ৫ অক্টোবর সিলেট আমলী ৩নং আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা করে নিরাপত্তাহীন হয়ে বাদী অবশেষে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে গোপনে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে পৈতৃক সম্পত্তির বাটোয়ারা অংশে পাকা ঘর নির্মাণ করেন ফরিদ মিয়া। সেই নির্মাণাধীন ঘরে বিদ্যুতের মিটার স্থাপন করে বসবাস করে আসছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে তিনি কয়েক বছর ধরে উপজেলা সদরে বাসা বাড়া করে থাকেন। বসত-ঘরটি দেখাশুনা জন্য বাদী তার ভাই ছাদ মিয়াকে দায়িত্ব দেন। বাদী বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থনকারী হওয়ায় এলাকায় যেতে পারেন না। সেই সুবাদে তাহার ভাইয়েরা কৌশলে সরকার দলীয় লোকদের সহযোগিতায় তার ঘরটি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং বাদীর নামীয় বিদ্যুতের মিটার পরিবর্তন করে ছাদ মিয়ার নামে মিটার স্থাপন করে ফেলে। বাদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এইসব জাল জালিয়াতির কারণ জানতে চাইলে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে থাকে। বাদী ফরিদ মিয়া পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারিসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন (সিআর মামলা নং-৩৭৯/২৩ইং)।
মামলাটি তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করা হবে বলে জানায় থানা পুলিশ।
বাদী ফরিদ মিয়া বলেন, বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় আমার নির্মাণাধীন বসত ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য আমার ভাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের যোগসাজশে মিটার খুলে নিয়েছেন। আমি আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা আমি ও আমার পরিবারকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। আমি প্রাণ রক্ষায় স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করি।
অভিযুক্ত ছাদ মিয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। ভাই ফরিদ মিয়া আমাদের উপর দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মিটারের মালিক ফরিদ মিয়া অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৫ অক্টোবর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post