ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পোষাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, শিমুলতলা, ছয়তলায়, নরসিংহপুর,নিচিন্তপুর, ঘোষবাগ সহ কয়েকটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা হওয়া, বেশকিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠে। শ্রমিক আন্দলোনের সময় এসব এলাকার সাধারন মানুষসহ স্কুল ও কলেজ গামি ছাত্র ছাত্রিরা জিম্মি হয়ে পরে,তাই আশুলিয়া বাসির দাবি যে আবাসিক এলাকায় এবাং স্কুলের সাথে আর কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, এনভয় গার্মেন্টসের শ্রমিক নজরুল ইসলাম, ভার্চুয়াল গার্মেন্টসের শ্রমিক সীমা আক্তার, পথচারী বিমল শীল ও মজনু মিয়া। তবে আহত বাকিদের তথ্য দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকরা বলেন, সকালে আমরা বেতন বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর যৌক্তিক দাবিতে আবদুল্লাহপুর -আশুলিয়া- ডিইপিজেড সড়কের ছয়তলা আসতেই পুলিশ গুলি করতে শুরু করে। আমাদের অনেক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অনেককেই ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আমাদের ওপর কেন গুলি চালাবে? আমরাতো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। পুলিশকে এই অধিকার কে দিয়েছে? আমরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের প্রধান ডা. জয় ভট্টাচার্য বলেন, গুলিবিদ্ধসহ আহত অবস্থায় অন্তত ২০ জন শ্রমিককে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে ৪-৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। আহতদের মধ্য নজরুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মাথায় গুলি লেগেছে। তাকেসহ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বেশ কিছু কারখানায় একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাজোয়া যানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অপর দিকে সাভারের হেমায়েতপুরের পদ্মারমোড় এলাকায় যমুনা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ না করে ২৩ হাজার টাকা মুজুরীর দাবিতে গার্মেন্টসে বিক্ষোভ করে এবং ভাংচুর চালায় বলে পুলিশ জানায়। এসময় পুলিশ ভাংচুরে বাধা দিলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে দফায় দফায় শ্রমিক ও পুলিশের মাঝে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন শ্রমিক আহত হন। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, রোববার সকালেও সাভারের হেমায়েতপুর ও আশুলিয়ায় মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কিছু শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আনোয়ার// দৈনিক দেশতথ্য..অক্টোবর ৩১,২০২৩//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post