সূর্যাস্তের পর পরই বরগুনার তালতলীর রাখাইন পল্লীগুলোতে ফানুস উড়িয়ে শুরু হয়েছে প্রবারণা উৎসব। এ উৎসব ঘিরে আদিবাসী পল্লীগুলোতে চলছে উৎসবের ইমেজ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সূর্যাস্তের পর থেকে তালতলীর তালতলী পাড়া, ছাতন পাড়া, নামিশে পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের বৌদ্ধমন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তিন দিনের এ উৎসব শুরু করা হয়।
আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণে শুরু হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। এ উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন বৌদ্ধমন্দির গুলো সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। ওড়ানো হচ্ছে নানা আকারের ফানুস।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী আষাঢ়ী পূর্ণিমাতে বৌদ্ধভিক্ষুদের বর্ষাব্রত শুরু হয় এবং এই পূর্ণিমাতে শেষ হয়। তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে কার্তিকের পূর্ণিমার তিথিতে প্রবরণা উৎসব পালন করেন। এ সময় বৌদ্ধবিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আর রাতে আকাশে ওড়ানো হয় নানা রঙের ফানুস। এদিনে রাখাইনরা আপ্যায়ন, অভিলাস পূরণ, ধ্যানশিক্ষা ও কর্মসম্পাদনের লক্ষ্যে পরিষ্কার পোশাকে বিভিন্ন বিহারে গমন করে।
![](https://dailydeshtottoh.com/wp-content/uploads/2021/10/pb-final.png)
তালতলীর বৌদ্ধ মন্দিরে ও আশপাশে সাজসজ্জা করেছে আয়োজকরা। বাড়িতে বাড়িতে তৈরী হচ্ছে নানান ধরনের পিঠাপুলি, বিভিন্ন প্রকারের খাবার।
আয়োজকরা জানান, করোনার কারনে গতবার করোনার কারনে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছিলোনা। এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় জাকঝমক ভাবে প্রবারনা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। এবার উপজেলার ১৩ টি রাখাইন পাড়ার এ উৎসব একযোগে উদযাপিত হচ্ছে।
তালতলী রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতা মিং মনথেলা রাখাইন বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এ প্রবারণা পূর্ণিমা। এদিন গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেন। এ কারণে এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, রাখাইন সম্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এই প্রবারনা। এ উপলক্ষে নিরাপত্তার প্রতিটি পাড়ায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সজাগ থাকবে তালতলী থানা পুলিশ।
খান নাঈম/দৈনিক দেশতথ্য/২০ অক্টোবর /২০২১
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post