মৌলভীবাজারের হাইওয়েতে ২৪০ বস্তা ভারতীয় অবৈধ চিনি ট্রাকসহ আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে সড়কের শেরপুর এলাকার যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে চোরাই পথে আসা বিপুল সংখ্যক এই ভারতীয় চিনি আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
এসময় ট্রাকে থাকা চালক, হেলপার ও চোরাকারবারীরা পুলিশ আসার বিষয়টি টের পেয়ে আগেই দরজা খোলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটক করা এসব চিনির বাজার মূল্য অন্তত ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকার মতো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারনা, সম্ভবত সিলেটের জাফলং সীমান্ত হয়ে এসব চিনি অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রের বরাতে জানায়, পুলিশের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিলো, এই সড়ক দিয়ে ভারতীয় অবৈধ চিনি আসার বিষয়টি। সে অনুযায়ী হাইওয়ে পুলিশের একটি দল শেরপুরের সিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুরের দিকে চিনি বোঝাই ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৮১৫৩ নম্বরের ট্রাকটি সেখানে পৌঁছলে গতিরোধ করতে সিগন্যাল দেয় দায়িত্বে থাকা পুলিশ। সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত সেখান থেকে ট্রাকটি চলে গেলেও শেষমেশ কিছু দূরে যাত্রী ছাউনীর সামনে ফের ট্রাফিক পুলিশ থামাতে সক্ষম হয়। তবে চালক, হেলপারসহ অন্যরা দ্রুত জানালা খুলে দৌড়ে পালাতে সক্ষম হওয়ায় পুলিশ তাদের আটক করতে পারেনি।
এদিকে ট্রাকটিকে আটকের পর পুলিশ দেখতে পায় অভিনব কায়দায় পুরো ট্রাকের উপর বালুর প্রলেপ। এমন ভাবে প্রলেপ দেয়া হয়েছে, নুন্যতম ধারনার বাহিরে এর নিচে যে সাড়ি সাড়ি চিনির বস্তা রাখা। এর পর বালু খুড়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানোর পর প্রথমে দেখা মিলে ত্রিপলের। ওই ত্রিপল খোলার পর সেখান থেকে একে একে বের করা হয় চিনির বস্তাগুলো।
এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি পরিমল চন্দ্র দেব বলেন, অভিনব কায়দায় ট্রাকের উপরে বালুর প্রলেপ দিয়ে ত্রিপলের নিচে রাখা হয় ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের সাদা ও বাদামী রঙের চিনির বস্তাগুলো। চোরাকারবারীদের এই কৌশল দেখে রীতিমতো হতভম্ব। তিনি আরও বলেন, বিশাল এই অবৈধ চিনি আটকের ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের তরফে মামলা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post