কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে পরাজিত ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর এক সমর্থকের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর গ্রামের আবু হানিফ এবারের সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি প্রয়াত আফাজ উদ্দন আহমেদের ছেলে নাজমুল হুদা পটলের সমর্থক। তিনি একজন ভিডিপি সদস্য। আবু হানিফ পটলের ঈগল প্রতীকের পক্ষে এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। নির্বাচনে পটল পরাজিত হযেছেন।
এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী। সোমবার সকালে রেজাউল হকের সমর্থক একই এলাকার সালামত ফকির, একা ফকির, মুন্না ফকিরসহ বেশ কয়েকজন আবু হানিফের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আবু হানিফের দাবি আগুনে তার ১৫ লাখ টাকার সম্পদ ভষ্যিভুত হয়েছে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেসাম রেজা ও পুলিশ সুপার আব্দুর রাকিবসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ব্যাপারে আবু হানিফের ভাই আব্দুর রহিম বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মবর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ এর দাবি আবু হানিফ ও তার বাড়িতে হামলাকারী পরষ্পর আত্মীয়। আগে থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
নির্বাচনে প্রার্থী পছন্দ নিয়ে সে বিরোধ আরো বেড়ে যায়। তার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। কুষ্টিয়া-১ আসনের নব নির্বাচিত সাংসদ বলছেন, এটি একাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি বলেন, কে ভোট দিয়েছে আর কে তাকে ভোট দেননি-এ প্রশ্ন এখন অবান্তর। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। ৭ জানুয়াীর নির্বাচনে এ আসনে রেজাউল হক চৌধুরী চৌধুরী ৮৯ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ঈগল প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল ৫৩হাজার ১০৫ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন এবং ৪৮হাজার ৯৬১ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৮ জানুয়ারি ২০২৪
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post