বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বরিশাল অঞ্চলের বিভাগীয় বিক্রয় ব্যবস্থাপক (ডিএসএম) হাবিব খান অনিক কোম্পানীর কারে গত সোমবার ঝালকাঠি যাচ্ছিলেন। রাজাপুর থানার নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ্যাংকর সিমেন্টের নীল রঙের ট্রাক (বরিশাল মেট্রো-ট-১১-০০৪৭) তার কারকে ধাক্কা দেয়। এতে অনিকের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের প্রাইভেটকার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এরপর অনিককে ঢাকায় আনা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতলে অনিক মারা যান ।
এ্যাংকর সিমেন্টের পক্ষ থেকে অনিকের পরিবারকে ক্ষতি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এজন্য মামলা না কেরে এবং ময়না তদন্ত ছাড়াই অনিকের লাশ দাফন করা হয়। এর পাঁচদিন পর এ্যাংকর সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। নিহত হাবিব খান অনিক ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দ. শিবপুর গ্রামের মুদি দোকানি ফারুক খানের ছেলে। ১১ মাস আগে অনিক বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্বা।
এ বিষয়ে এ্যাংকর সিমেন্টের পরিবহন খাতের প্রধান আলী আহসান বলেন, নিহতের পরিবার ও বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজের কয়েকজন এসেছিল। তাদের প্রস্তাব আমাদের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। এ্যাংকর সিমেন্টের সিইও শাহেদ উদ্দিন (অবঃ মেজর) বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তাই থানা থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এজিএম মোঃ শাহীন বলেন, নিহত অনিক তার পরিবারের একজন উপার্জনকারী ব্যক্তি। এ্যাংকর গ্ৰুপ সহায়তার কথা বলে মিমাংশার আশ্বাস দিয়েছিল এখন তাকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া অমানবিক।
এ্যাংকর সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসায় গত শুক্রবার নিহতের চাচা সামাদ খান ঝালকাঠির রাজাপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
রাজাপুর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ্যাংকর সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে নিহতের প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মাফিক ক্ষতিপূরণ দিতে না চাওয়ায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। তাই ঘটনার তিনদিন পর এ্যাংকর সিমেন্টের ট্রাক চালককে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি।’
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post