মনিরুল আলম মনির,শার্শা:
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে স্থাপিত ৫ কোটি টাকার কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বন্ধ হয়ে আছে আমদানিকৃত পন্য বোঝাই ট্রাক স্ক্যানিং করা। ফলে আমদানিকৃত পণ্যের ট্রাকের মধ্যে আমদানি নিষিদ্ধ পন্য আছে কিনা সেটি ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
চীনা সরকার ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বেনাপোলে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি স্থাপন করেন। স্থাপনের পর একজন চীনা ইঞ্জিনিয়ার ৩ মাস ধরে কাস্টমস অফিসারদের প্রশিক্ষন দেন। বেশ কিছু দিন চলার পর গেল ২০২৩ সালের এপ্রির মাসে এটি নস্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে মেশিনটি কার্যকর করার জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন করনেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অবশ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন বলে তারা জানান।
সরকার কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি বসিয়েছে পন্য দ্রুত খালাশের জন্য। স্ক্যানিং মেশিনটি পন্যবোঝাই ট্রাকের পন্য ছবি আকারে স্ক্যানিং করে কম্পিউটারে ধারন করে রাখে। কোন অনিয়ম দেখলেই স্ক্যানিং মেশিনে রেড সিগনাল দিয়ে প্যাকেজটি দেখিয়ে দেবে।
যে সব পন্য স্ক্যানিং সম্পন্ন হবে সেসব পন্য পুনরায় আর এক্সামিনেশন করা দরকার নেই। বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে ১০% এরও বেশী পন্য চালান পরীক্ষা করছেন। ফলে পন্যের অধিকাংশ প্যাকেজ কেটে ছিড়ে নস্ট করা হচ্ছে। আমদানিকারক ঐ পন্য ডেলিভারি নেওয়ার পর বাজার জাত করতে পারছেন না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস বলছে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
অত্যাধুনিক মেশিনটি আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। চায়না ইঞ্জিনিয়ার চলে যাওয়ার পর মেশিনটি পরিচালনা দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম।
যুগ্ন কমিশনার, কাস্টমস হাউস,বেনাপোল জানান
আমরা কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি যতদ্রুত সম্ভব এটি মেরামত করা সম্ভব হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

Discussion about this post