তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে কমেছে মাছের উৎপাদন। হাওরের অনেক জায়গা ভরাট, মাছের খাদ্য ও আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়ায় এ পরিস্থিতি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য কার্যকর উদ্যোগের প্রয়োজন দেখছেন তাঁরা।
দেশীয় প্রজাতির মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত হাকালুকি হাওর। ২০২২ সালে হাওরে ২৮ হাজার টন মাছ উৎপাদন হলেও গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয় সবেমাত্র ১৭ হাজার টন।
আগে বোয়াল,আইড়, রুই, মৃগেল ও শোল জাতীয় মাছের প্রাচুর্য থাকলেও এখন জেলেদের জালে এসব মাছ উঠছে খুব কম। ছোট মাছের মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছে চাপিলা, টেংরা, মলা, ঢেলা, চিংড়িরও।
হাকালুকি হাওরের ২৩৮টি বিল থাকলেও বর্তমানে তা দৃশ্যমান ২০০টির মতো। বাকিগুলো ভরাট ও অন্য বিলের সঙ্গে মিশে একাকার। বিপন্নতার মুখে জলজ জীববৈচিত্র্য, মাছের খাদ্য ও অবভয়ারন্য খ্যাত আবাসস্থল।
পানি সেচে অবাধে মাছ ধরা নিয়েও আছে বিশালাকৃতির সমস্যা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগ করতে গেলে পড়তে হয় বিভিন্ন বাঁধার মুখে।
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, ‘বিলগুলোতে বিভিন্ন সেচ মেশিন এবং অন্যান্য পাম্প দিয়ে পানিশুন্য করে মাছ ধরা হয়েছে যার কারণে মাছ বংশবিস্তারের কোন সুযোগ পায়নি।’
হাকালুকি হাওরের আয়তন ১৮ হাজার হেক্টর। তবে বর্ষায় আয়তন বেড়ে হয় ২৮ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় পড়েছে ৭০ শতাংশ, আর ৩০ শতাংশের বিস্তৃতি রয়েছে সিলেটে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post