যশোর সদর প্রতিনিধি : দেশের চলমান তাপদাহে শীর্ষে রয়েছে যশোর। কয়েকদিন তীব্র গরমের পর দুই একদিনের মধ্যেই বৃষ্টির আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।তাই,
টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে সতর্কতামূলক মাইকিং করছে যশোর কৃষি অফিস। এতে ধান কাটার চাপ বেড়েছে আতঙ্কিত কৃষকদের।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে,যশোরে চলতি মৌসুমে এক লাখ ৬০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
কৃষকরা ইতোমধ্যে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষকরা জানান ,আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে মাঠের সব ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হবেন। এবার জাত ও এলাকাভেদে প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মণ ধান হয়েছে ।
ঝিকরগাছা উপজেলার থাটবাড়িয়া গ্রামের বাবলুর রহমান বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। দ্রুত দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। বাকি ধান এখনো ঘরে তুলতে পারিনি। বৃষ্টি হলে ধান ঘরে তোলা বিপদজনক, অনেক নষ্ট হবে।
শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের বোরো চাষি মামুনুর রহমান বলেন, ‘ধান কাটার মেশিন এসেছে গ্রামে। আমি শ্রমিক দিয়েই মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলছি। মেশিনে বিচালি হবে না। তাই আমার গরুর জন্য এই ব্যবস্থা।’
মনিরামপুর উপজেলার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তাপদাহে শ্রমিকরা কেউ দিনের বেলায় কাজ করতে চাইছেন না। বিঘা প্রতি ধান কাটা, বাঁধা ও ঝাড়াসহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার জানিয়েছেন, ‘যশোরাঞ্চলে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোরের কৃষকরা মাঠের ৭০ ভাগ ধান কেটে ঘড়ে তুলেছেন। আগামী ২-৩ দিন বৃষ্টি না হলে মাঠের সব ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।’
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post