শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট: জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় এক তরুণী গণ ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
এই ধর্ষনের ঘটনায় মূলহোতা মোঃ কাজল ইসলাম (১৯) নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী হাতীবান্ধা থানায় তিন জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
আজ বুধবার ভিকটিমের মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। আটক কাজল ইসলামের বাড়ি জেলার পাটগ্রাম উপজেলার নবীনগর বাউরা। সে ওই গ্রামের আজগর আলীর পুত্র। অন্য দুই আসামীর মিঠু ইসলাম (৩২) ও আল আমিন (৩০)।
আটক ধর্ষক কাজলের ভগ্নিপতি বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ধর্ষক কাজল ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। তাকে কৌশলে মোবাইল ফোনে ঢেকে আনে ও হাতীবান্ধায় বোন জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব হতে থাকা দুই বোন জামাই ( ভগ্নিপতি) মিলে সারা রাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার এক পযার্য়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জোরপূর্বক অপরিচিত একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় প্রেমিক কাজল। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার । এ ব্যাপারে ধর্ষিতা তরুণী তার খালাতো বোনকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে হাতীবান্ধা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের মূলহোতা কাজলকে আটক করেছে। দুই বোন জামাই গ্রেফতার এড়াতে লাপ্পাত্তা হয়ে গেছে। ধর্ষক কাজল এখন কারাগারে রয়েছে। তরুণীর লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা হয়েছে। বর্তমানে তার মানসিক কাউন্সিলিং চলছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত জানান, তিন জনের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার হয়েছে। অভিযুক্ত মূলহোতা প্রেমিক ও ধর্ষক কাজল ইসলামকে ওই রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। অন্য দুই ধর্ষককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post