ইবি প্রতিনিধি ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২১ গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান। শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শাপলা ফোরামের নির্বাচনে নির্বাচিত পরিষদের সদস্যদের মধ্যে থেকে উপস্থিত সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এই দুই শিক্ষক। কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন, অর্থ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা। এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফীন, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ড. মেহের আলী, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক, অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন, সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৫জন শিক্ষক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী সভায় উপস্থিত নির্বাচিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ পদে উপরোক্ত শিক্ষকগণ নির্বাচিত হন। নিয়মানুযায়ী বাকি ১০জন শিক্ষক কার্যনির্বাহী পদে থাকবেন।
এদিকে গত ২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া শাপলা ফোরামের নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিষদের নির্বাচিত ৬ সদস্য। শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেনে বক্তারা বলেন, নির্বাচনে প্রতি পক্ষ থেকে দুইজন পর্যবেক্ষকের পরিবর্তে একজন পর্যবেক্ষকের অনুমুতি দেওয়া হয়েছে। ভোট প্রদানের নির্দেশনার ২ ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৭নং ধারার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। ভোট গণনা শুরুর আগে উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দকে ভোট গণনা কার্যক্রম অনলাইনে সম্প্রচার করার অনুমুতি প্রদান করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
একইসাথে ফলাফল কারচুপির উদ্দেশ্যে প্রকাশে অস্বাভাবিক সময় নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আরো একাধিক অভিযোগ আনেন তারা।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্স তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট গণনাকালে তাদের পক্ষের প্রতিনিধি ছিল। যদি পক্ষপাতিত্ব হয়ে থাকে তবে তাদের প্রতিনিধিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করানো প্রয়োজন ছিল। আমরা তিনজন যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করেছি।’

Discussion about this post