নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: নেছারাবাদে বিধান মিস্ত্রী (৪৫) নামে এক এনজিও কর্মীরলাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে মাদ্রা গ্রামের নিজ বাড়ীর পাশের একটি আম গাছ থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছেন।
বিধান মিস্ত্রী ওই গ্রামের সতিন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে তিনি এনজিও দেনার দায়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে বিধান মিস্ত্রী আরামকাঠি গ্রামের মো: রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যাক্তির পরিচালিত আরামকাঠি সঞ্চয় ঋনদান সমবায় সমিতিতে আট বছর যাবত মাঠকর্মী পদে চাকরি করছিলেন। পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি নিজ নামে ‘সোনালি সঞ্চয় ঋনদান সমিতি’ নামে একটি সমবায় সমিতির লাইসেন্স করে পরিচালনা করে আসছিল।
এ নিয়ে তিনি মাঝেমধ্য আরামকাঠি সঞ্চয় ঋনদান সমবায় সমিতির মালিক রহমত উল্লাহর সাথে বিধান মিস্ত্রীর বিরোধ চলত। এমনকি বিধান মিস্ত্রী নিজ নামে ওই সমবায় সমিতি পরিচালনা করতে গিয়ে অনেকটা দেনার জালে আটকে যান। এ কারনে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সদানন্দ মন্ডল জানান, বিধান মিস্ত্রী আরামকাঠি গ্রামের রহমত উল্লাহর একটি সমবায় সমিতিতে চাকরি করতেন। পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি নিজ নামে একটি সমবায় সমিতি খুলে সমিতি পরিচালিত করছিলেন। এ নিয়ে রহমত মিয়ার সাথে বিধানের বিরোধ চলত। মাস দুয়েক পূর্বে রহমত মিয়া বিধান মিস্ত্রীকে নিজ অফিসে কয়েক ঘন্টা আটকে রেখেছিলেন। পরে বিধানের পরিবার খবর পেয়ে বিধানকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছিলেন। সব মিলিয়ে বিধান মিস্ত্রী চল্লিশ লক্ষাধিক টাকার দেনায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি ধারনা করে বলেন, হয়তো দেনার দায়ে সে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে আরামকাঠি সঞ্চয় ঋনদান সমবায় সমিতির মালিক মো: রহমত উল্লাহ বলেন, বিধান মিস্ত্রী আমার এনজিওতে সাত আট বছর যাবত চাকরি করেন। পাশাপাশি নিজেও একটি সমবায় সমিতি চালাতেন। তার সাথে আমার ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার একটি লেনদেন রয়েছে। এছাড়া কোন ঝামেলা নেই।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচ,এম শাহিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। শুনেছি দেনার দায়ে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post